যত উন্নতি হচ্ছে প্রযুক্তির ততই যেন আশীর্বাদের পাশাপাশি অভিশাপও হচ্ছে জীবনে। বর্তমান জীবনে কাজ কিংবা সময় কাটানোর ক্ষেত্রে ফেসবুক খুব গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আর সেই মাধ্যমটিকে হাতিয়ার করেই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে চলছে অবিশ্বাসের ফাঁদ। পুলিশের কাছে জমা পড়ছে এমনই সব ক্রাইম ফাইল।
কর্ণাটকের এক পুলিশ অফিসার পি হরিশেখরন জানালেন ফেসবুকে এই সব কীর্তিমানেরা প্রথম প্রোফাইল খোলেন। সেই প্রোফাইল থেকেই পাঠান হয় ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। এরপর ফান্ড রাইজিংয়ের নামে টাকা চাওয়া হয়। ব্যস! টাকা দেওয়া মানেই আধার থেকে অ্যাকাউন্ট সব তথ্য এক তুড়িতে চলে আসে তাঁদের হাতে। এরপর টাকা সাফ কেবল সময়ের অপেক্ষা। এমন ফাঁদে পড়েছেন অনেকেই। এমনকী দুঁদে পুলিশ অফিসারদের অ্যাকাউন্টও হ্যাক হয়েছে।
সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ পি হরিশেখরন নিজেও এমন একটি ফাঁদে পড়েন। ব্যাঙ্গালোরের সিআইডি সাইবার ক্রাইম পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর একদিন পর সিআইডি-এর ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট অফ পুলিশ এম এইচ হেগড়েও একইও অভিযোগ দায়ের করেন। অক্টোবরের ৫ তারিখ সিআইডি-এর আরেক ডিএসপি প্রকাশ রাঠোড অভিযোগ দায়ের করেন যে একটি ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্টে যোগাযোগ করার পরে তার বন্ধুর নামে অনুদান দিয়ে ফাঁদে পড়েন তিনি।
কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং তেলেঙ্গানার পুলিশ আধিকারিকেরা যে একই রকম ডজন ডজন অভিযোগ করেছেন। তদন্তে জানা যাচ্ছে ভারতপুর এবং রাজস্থানের অন্যান্য অংশ থেকে পরিচালিত একটি সংগঠিত সাইবার অপরাধের নেটওয়ার্কে এই কাজ করা হচ্ছে। মোবাইল ফোন সিম কার্ড খুচরা বিক্রেতা থেকে অপারেটরদের নেটওয়ার্ক শত শত জাল আধার পরিচয় তৈরি করে। সেই নকল আইডিগুলির বিরুদ্ধে সিম কার্ড জারি করা হয়। যা দিয়ে পুলিশ অফিসারদের ছদ্মবেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে ব্যবহৃত হত।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন