Advertisment

পরীক্ষার নামে চূড়ান্ত হয়রানি, এখান থেকে সেখান, পুলিশ ভ্যানেই ১২ ঘণ্টার অপেক্ষা গণধর্ষিতার

বিষয়টি নিয়ে চাপানউতোরের পরই দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা শুরু করেছে সব পক্ষই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Police

লজ্জায় মুখ ঢাকল ওড়িশা। গণধর্ষণের নির্যাতিতাকে মেডিক্যাল পরীক্ষা নামে ১২ ঘণ্টা ভ্যানে অপেক্ষা করাল ওড়িশা পুলিশ ও চিকিৎসকরা। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার কেওনঝড় জেলায়। নির্যাতিতা অভিযোগ করেছেন, বৃহস্পতিবার তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষার কথা ছিল। সেই জন্য তাঁকে পুলিশের ভ্যানে অপেক্ষা করতে হয়েছে। মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে যা হয়ে যাওয়ার কথা, সেই জন্য তাঁকে পুলিশের ভ্যানে অর্ধেক দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে।

Advertisment

কীভাবে ঘটল ওড়িশার পুলিশ ও প্রশাসনের এই গাফিলতি? নিজেদের দোষের সাফাই দিতে গিয়ে, তা কার্যত জানিয়েছে ওড়িশা পুলিশই। এই ব্যাপারে ওড়িশা পুলিশ গোটা দায়ভার ঝেড়ে ফেলে দিতে চেয়েছে চিকিৎসকদের ঘাড়ে। ওড়িশা পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ওই মহিলাকে এক পুলিশ ভ্যানে চাপিয়ে মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা করতে অস্বীকার করেন। কারণ, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার স্থানটি একটি কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের (সিএইচসি) আওতাধীন।

এরপর ওই মহিলার সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা নির্যাতিতাকে সিএইচসিতে নিয়ে যান। কিন্তু, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিএইচসিতে কোনও মহিলা ডাক্তার না-থাকায় নির্যাতিতাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পুলিশের ভ্যানে বসে থাকতে হয়। এরপর পুলিশ ওই মহিলাকে আবার মহকুমা হাসপাতালে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। সেখানে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ চিকিৎসকরা তাঁর ডাক্তারির পরীক্ষা করেন। এর পরের দিন ওই মহিলার সম্পূর্ণ ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়।

যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে প্রমাণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেকথা জানার পরও এই ভাবে নির্যাতিতার সঙ্গে কার্যত সময় নষ্টের খেলা কেন খেলল ওড়িশার পুলিশ ও প্রশাসন? স্বভাবত এই প্রশ্ন উঠেছে। সাফাইয়ে কেওনঝড়ের জেলা মুখ্য চিকিৎসা আধিকারিক (সিডিএমও) কিশোরচন্দ্র পুস্তি বলেন, 'নির্যাতিতা বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধ একটা যৌন অপরাধ। আর, এই মামলা শিশুসুরক্ষা আইনের অধীনে নথিবদ্ধ। এক্ষেত্রে একজন মহিলা রেজিস্টার্ড মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনারকেই পরীক্ষা করতে হবে। তা-ই এত দেরি হয়েছে।'

আরও পড়ুন- কেন্দ্রের জরুরি আইন জারি, টুইটার-ইউটিউব থেকে সরল বিবিসির তথ্যচিত্র

কিন্তু, প্রথমবার মহকুমা হাসপাতাল কীসের ভিত্তিতে নির্যাতিতাকে ফিরিয়ে দিল? মহকুমা হাসপাতাল কি এভাবে বিচারাধীন মামলার সাক্ষ্য সংগ্রহে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করতে পারে? এই প্রশ্নের জবাবে জেলা মুখ্য চিকিৎসা আধিকারিক নিজের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, 'আমি ছুটিতে ছিলাম। তাই এই মামলার ব্যাপারে বিস্তারিত জানি না। কাজে যোগ দেওয়ার পর, আমি ব্যাপারটা খতিয়ে দেখব।'

Read full story in English

rape Hospital Visit police
Advertisment