ঝাঁসিতে পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ আহমেদ। উমেশ পাল হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ আহমেদ ঝাঁসিতে পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হয়েছেন।
ঝাঁসিতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এনকাউন্টারে উমেশ পাল হত্যা মামলায় মূল চক্রী আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ নিহত হয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই এই তথ্য জানিয়েছে। এদিনের এনকাউন্টারে আতিকের ছেলের সঙ্গে মাকসুদনের ছেলে গোলামও নিহত হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ঝাঁসিতে ডেপুটি এসপি নবেন্দু এবং ডেপুটি এস পি বিমলের নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এর সঙ্গে সংঘর্ষে এই দুইজনের মৃত্যু হয়। নিহত দুজনই প্রয়াগরাজের উমেশ পাল হত্যা মামলায় ওয়ান্টেড ছিল এবং উভয়ের জন্য পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ধার্য করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি অত্যধুনিক বিদেশী অস্ত্র।
এনকাউন্টার সম্পর্কে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, 'উমেশ পাল হত্যা মামলায় দুজনেই ছিলেন মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায়। দুজনেরই ওপরই ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার ধার্য্য করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ঝাঁসির ডিএসপি নবেন্দু এবং ডিএসপি সুবিমলের নেতৃত্বে ইউপি এসটিএফ সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন দু'জনেই। তাদের দুজনের কাছ থেকে মিলেছে বেশ কয়েকটি বিদেশি অস্ত্র।
আরও পড়ুন : < অস্বস্তি বিজেপির, নিশীথ কাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের দাবি খারিজ, মামলা ফের হাইকোর্টে >
পুলিশের এনকাউন্টারের প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশ পুলিশের প্রশংসা করেছেন। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে এই এনকাউন্টারের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব সঞ্জয় প্রসাদ। তবে এই সংঘর্ষের পর আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক ডাকা হয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, উমেশ পাল হত্যা মামলার পর থেকে আসাদ পলাতক ছিল বলেই জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলেছেন ‘উত্তরপ্রদেশ থেকে আমরা গুন্ডা মাফিয়া ও অপরাধীদের নির্মূল করব এটাই আমাদের সংকল্প’। উত্তরপ্রদেশে কোন অপরাধী অপরাধ করে পালাতে পারবে না'।