রাজ্যজুড়ে কুকুরের মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করতে আইন পাশ করেছিল নাগাল্যান্ড সরকার। কিন্তু মাংস বিক্রেতারা পাল্টা আইনকে চ্যালেঞ্জ করে গুয়াহাটি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁদের আবেদনের জেরে নাগাল্যান্ড সরকারের নয়া আইনে স্থগিতাদেশ জারি করল কোহিমা বেঞ্চ। শুক্রবার বিচারপতি এস হুকাতো সিউ জানিয়েছেন, পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত এই আইনে স্থগিতাদেশ জারি করা হল। রাজ্য সরকারের তরফে জবাব চেয়েছে হাইকোর্ট।
গত ৪ জুলাই রাজ্যজুড়ে কুকুরের মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করে নাগাল্যান্ড সরকার। মুখ্যসচিব তেমজেন টয়ের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়, সরকার কুকুরের মাংসের বাণিজ্যিক আমদানি এবং বিক্রি ও কুকুর মার্কেটকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপরই রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে এবং রেস্তরাঁয় কুকুরের মাংস বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। সেইসময় বিজেপি সাংসদ তথা পশুপ্রেমী মানেকা গান্ধী কুকুর হত্যা ও মাংস খাওয়াকে নৃশংসতার পরিচয় বলে শোরগোল ফেলে দেন। তিনি নাগাল্যান্ডের মুখ্যসচিবের কাছে আবেদন করেন, কুকুর বাজার ও রেস্তরাঁগুলিকে বন্ধ করার জন্য।
আরও পড়ুন জম্মু সীমান্তে একের পর এক সুড়ঙ্গের খোঁজ, রয়েছে এয়ারপাইপও
কিন্তু নাগাল্যান্ডে কুকুরের মাংস দীর্ঘদিন ধরে একটা প্রচলিত খাদ্য। শুধু তাই নয়, উত্তর-পূর্বের বহু রাজ্যের প্রাচীন ঐতিহ্য হল কুকুরের মাংস দিয়ে ভোজ করার। নাগাল্যান্ডে এতদিন সরকারিভাবে বৈধ ছিল কুকুরের মাংস বিক্রি। রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলাকারী কুকুর বিক্রেতারা কোহিমা পুর পরিষদের বৈধ লাইসেন্সপ্রাপ্ত। তাঁরা আদালতে জানান, মাংস বিক্রি করে বহু মানুষের রুজিরুটির সংস্থান হয়। আর করোনা অতিমারীতে এই মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করে তাঁদের জীবিকায় আঘাত হানছে সরকার। সব পক্ষের দাবি শোনার পর হাইকোর্ট রাজ্যের আইনে স্থগিতাদেশ জারি করেছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন