গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে এবার নিজেদের হেফাজতে নিল মহারাষ্ট্রের গুণ্ডা দমন শাখা। অস্ত্র মামলায় বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলার তদন্তেই ওই দুই অভিযুক্তকে মহারাষ্ট্র পুলিশের গুণ্ডাদমন শাখা হেফাজতে নিল বলে জানা গিয়েছে। সুজিত কুমার ওরফে প্রবীণ রঙ্গস্বামী ও ভারত কুর্নে ওরফে আঙ্কলকে বুধবার বেঙ্গালুরুর সেন্ট্রাল জেল থেকে মুম্বইয়ে নিয়ে আসা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। গতকাল দুই অভিযুক্তকেই বিশেষ আদালতে তোলা হয়।
মহারাষ্ট্র এটিএস সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্ত্র মামলায় আগে গ্রেফতার করা হয় শরদ কালাসকরকে। নরেন্দ্র দাভোলকর হত্যাকাণ্ডে শরদের যোগসূত্র জানতে পেরেছে পুলিশ। সেই অভিযোগে শরদকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্নাটকের চিখালি গ্রামে সাাথিয়া রিসর্ট নামে ভারত কুর্নের ফার্মহাউসে আগ্নেয়াস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিয়েছিল শরদ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, ওই এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্রের প্রমাণ মিলেছে। আগ্নেয়াস্ত্রের ওই নমুনা সংগ্রহ করে ইতিমধ্যেই ফরেনসিক ল্যাাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন, গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ড: গোপন ডায়েরির ‘মেকানিক’ মহারাষ্ট্রের নাশকতাকাণ্ডে গ্রেফতার
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যাঁরা সরব হতেন, তাঁদের কার্যত টার্গেট করত ধৃতরা। এমনকি, তাঁদের উপর হামলার জন্য বিভিন্ন এলাকা ধৃতরা পরিদর্শনও করেছিল বলে মহারাষ্ট্র পুলিশের গুণ্ডাদমন শাখার তরফে জানানো হয়েছে। পুলিশের সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, নকল নম্বরপ্লেট লাগানো ধরওয়াদ ও দেওয়ানগিরি এলাকার রেজিস্ট্রি করা দুটি গাড়ির হদিশ মিলেছে। ধৃতরা ওই দুটি গাড়ি ব্যবহার করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধৃতদের হেফাজতে পেয়েছে মহারাষ্ট্র এটিএস।