Advertisment

গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ড: গোপন ডায়েরির 'মেকানিক' মহারাষ্ট্রের নাশকতাকাণ্ডে গ্রেফতার

এ মামলায় অন্য সন্দেহভাজনরা জানিয়েছে, ‘মেকানিক’ মোটরসাইকেল চুরি করার ব্যাপারে সিদ্ধহস্ত। এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে দাভোলকর, পানসারে, কালবুর্গী ও গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে সূর্যবংশীকে গোপন গোষ্ঠীগুলি কাজে লাগিয়েছিল কি না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে চার্জশিটে অভিযুক্ত হিন্দুত্ববাদী সংগঠন

আরও একবার সামনে এল মহারাষ্ট্রে উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে গৌরী লঙ্কেশ হত্যার যোগাযোগের সম্ভাবনা। গাড়ি সারাই মিস্ত্রি বাসুদেব সূর্যবংশী, যাকে রবিবার মহারাষ্ট্র এটিএস উগ্র হিন্দু গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে, তাকে গৌরী হত্যায় ধৃত অমোল কালের ডায়েরিতে 'মেকানিক' বলে চিহ্নিত করা ছিল।

Advertisment

কর্নাটক পুলিশের একটি সূত্র এ খবর জানিয়েছে। অমোল কালের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির। মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকের বিভিন্ন শিবিরে যেসব যুবকেরা অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছে, বাসুদেব সূর্যবংশীও তাদের মধ্যে ছিল বলে জানিয়েছে কর্নাটক পুলিশের বিশেষ তদন্ত দলের একটি সূত্র। প্রসঙ্গত, গৌরী লঙ্কেশ হত্যার তদন্ত করছে কর্নাটক পুলিশের এই বিশেষ তদন্ত দল।

আরও পড়ুন, দাভোলকর হত্যা মামলায় দুই অভিযুক্তের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন খারিজ আদালতে

এ মামলায় অন্য সন্দেহভাজনরা জানিয়েছে, ‘মেকানিক’ মোটরসাইকেল চুরি করার ব্যাপারে সিদ্ধহস্ত। এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, যুক্তিবাদী নরেন্দ্র দাভোলকর, বামপন্থী চিন্তাবিদ গোবিন্দ পানসারে, কন্নড় ভাষার পণ্ডিত এম এম কালবুর্গী ও গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে সূর্যবংশীকে গোপন গোষ্ঠীগুলি কোনওরকম ভাবে কাজে লাগিয়েছিল কি না।

মে মাসে গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় অমোল কালে-কে। তার কাছ থেকে মেলা ডায়েরিতে এ যাবৎ মিলেছে বহু সূত্র। সেই ডায়েরিতেই জানা গেছে, তিন বছর আগে আয়োজিত এক অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়েছিল মেকানিক। দক্ষিণপন্থী গোষ্ঠী যে সন্ত্রাসের ছক কষেছিল বলে অভিযোগ, সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই সূর্যবংশীর খোঁজ পায় মহারাষ্ট্র এটিএস। পুণের প্রাক্তন হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির আহ্বায়ক অমোল কালের ডায়েরিতে গোপন হিন্দু সংগঠনের বহু ধরনের অপরাধমূলক কাজকর্মের হদিশ পেয়েছে বিশেষ তদন্ত দল। বিশেষ তদন্ত দল আরও জানতে পেরেছে, নিজের ডায়েরিতে গ্রুপের সদস্যদের আসল নাম প্রকাশ করেনি অমোল কালে। তাদের পরিচয় গোপন রাখার জন্য সবসময়ই ছদ্মনামের আশ্রয় নিয়েছে সে।

মে মাসেই গ্রেফতার হয়েছিল ৩৮ বছরের সুজিত কুমার, যে হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির প্রাক্তন কর্মী এবং গোপন গোষ্ঠীর লোক  নিয়োগকারী। জেরায় সেই সুজিত জানিয়েছে, "যখন আমরা নিশ্চিত হতাম যে কোনও একজন আমাদের গ্রুপে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করেছে, তখন শুধুমাত্র আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তাদের একটি মোবাইল ফোন দেওয়া হত, এবং ওই যুবককে একটি কোড নেমও দেওয়া হত।"

gauri lankesh Hindu Janajagruti Samiti
Advertisment