গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আরও তিনজনকে পাকড়াও করল বিশেষ তদন্ত দল। ধৃতদের ১২ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর নিজের বাড়ির বাইরে খুন হয়েছিলেন এই সাংবাদিক।
এবারে যে তিনজনকে ধরা হয়েছে তারা সকলেই সনাতন সংস্থা ও হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির সঙ্গে যুক্ত। অমোল কালে ওরফে ভাইসাব (৩৯)-কে মহারাষ্ট্র থেকে, অমিত ডেগওয়েরকার ওরফে প্রদীপ (৩৯)-কে গোয়া থেকে, ও মনোহর এডাভে (২৮)-কে কর্নাটক থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাহিত্যিক কে এস ভগওয়ানকে তাঁর মাইসুরুর বাড়িতে হত্যার ছক কষছিল এরা।
ভগওয়ান হত্যা চক্রান্ত মামলায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুজিত কুমার ওরফে প্রবীণ (৩৭)-কে কর্নাটক থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুজিত কুমারকে গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত বলে জানিয়েছিল বিশেষ তদন্তদল। ধৃত চারজনকেই বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হয়। ভগওয়ান হত্যা চক্রান্ত মামলায় এর আগের দিনই জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সিটের আধিকারিকরা আদালতে জানিয়েছেন, ভগওয়ান হত্যা চক্রান্তের তদন্তে নেমে এই চারজন যে গৌরী হত্যায় যুক্ত তার বেশ কিছু সূত্র পেয়েছেন তাঁরা। সে কারণেই নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে জরুরি বলে মনে করছে পুলিশ। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতদের কর্নাটক, গোয়া ও মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলেও আদালতে জানিয়েছে পুলিশ। এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘এই চারজনের কাছ থেকে ৪৩টি মোবাইল ফোনের সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যা থেকে মনে করা হচ্ছে যে তারা গোপন ও বেআইনি কাজকর্মে যুক্ত ছিল’’।
এ ঘটনায় এ নিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হল। মার্চ মাসে কর্নাটকের মাদদুর এলাকা থেকে কে টি নবীন কুমার (৩৭) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত নবীন কুমার হিন্দু যুব সেনার কর্মী। অভিযোগ, খুনিদের সমস্তরকম সহায়তা করা ছাড়াও, গৌরী লঙ্কেশের বাড়ি চেনানো এবং তাঁর বাড়ির উপর নজর রাখার কাজও করেছিল ।
বুধবার বিশেষ তদন্ত দল জানিয়েছে, জেরায় নবীন কুমার স্বীকার করেছে, সনাতন সংস্থার গোয়া ও কর্নাটকে একাধিক মিটিংয়ে সে উপস্থিত ছিল, এবং ‘হিন্দু বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি’ ও ‘হিন্দু দেবদেবীর সমালোচনা’ করার জন্যই গোরী লঙ্কেশ কে খুন করা হয়েছে।