'লাদাখে যারা নজর দিয়েছে, ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছে, তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে।' মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
Advertisment
এদিন 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই নানান বিষয় নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন মোদী। উঠে আস ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ানে ইন্দো-চিন সেনা সংঘর্ষের ঘটনা। চিনকে বার্তা দিয়ে মোদী বলেন, 'যারা আমাদের দেশে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল লাদাখে তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে।' লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষে চিনা আক্রমণে প্রাণ গিয়েছে ২০ জন ভারতীয় সেনাকর্মীর। তাঁদের বীরত্বের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'আমাদের সেনারা প্রমাণ করেছে যে, কোনও ঝামেলাতে দেশকে পড়তে দেবে না। প্রত্যেক দেশবাসী সীমান্তের অপূরণীয় ক্ষতি উপলোব্ধি করতে পারছেন। শহিদদের অভিভাবকরা এরপরও সন্তানদের সেনাবাহিনীতে কাজে পাঠাতে প্রস্তুত। এটাই আমাদের শক্তি।'
যুদ্ধ নয়, ভারত বন্ধুত্ব, শান্তিতে বিশ্বাসী। মোদীর তাঁর এদিনের বক্তব্যে ফের একবার সেকথা স্মরণ করিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, 'ভারত বন্ধুত্ব, ভালবাসায় বিশ্বাসী। শান্তির প্রতি ভারতের দায়বদ্ধতা গোটা বিশ্ব দেখেছে। কিন্তু, ভারত যেমন বন্ধুত্ব করতে জানে তেমনই , আঘাত এলে চোখে চোখ রেখে কথা বলতেও জানে।' এরপরই মোদী বলেন, 'প্রতিবেশীদের আচরণ আমরা দেখেছি, তা প্রতিরোধ করেছি।' বক্তব্যের মাধ্যমেই ভারতের বিদেশ নীতি এদিন স্পষ্ট করে দেন তিনি।
সীমান্তের উত্তাপ দেশের রাজনীতিতেও পড়েছে। ভারতীয় ভূখণ্ড কী লাল ফৌজ দখল করেছে? কেন্দ্রের কাছে তা সরাসরি জানতে চায় কংগ্রেস। এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সর্বদল বৈঠকও হয়। সেখানেই সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেন মোদী। পরে তিনি জানিয়েছিলেন, 'লাদাখে আমাদের সীমান্ত পেরিয়ে কেউ প্রবেশ করেনি। ওখানে আমাদের এলাকায় কেউ ঢুকেও বসেও নেই।'
'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, 'ভারতে বিভিন্ন সময় হামলা হয়েছে। তবে সেই চ্যালেঞ্জকে প্রতিহত করেই ভারত এগিয়েছে। সর্ব ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে।' তাঁর কথায়, 'সংকটই ভারতের সাফল্যের সিঁড়ি। সুতরাং সংকটের সঙ্গে মোকাবিলা করেই এগোতে যেতে হবে।'
আত্মনির্ভর ভারতের পক্ষেও এদিন সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, 'দেশকে আত্মনির্ভর হতে হবে। লোকালের জন্য ভোকাল হতে হবে। গোটা দেশ, প্রত্যেক নাগরিককে এর জন্য এগিয়ে আসতে হবে। আত্মনির্ভরতাই দেশকে শক্তিশালী করবে।'