Advertisment

শুধু পাতে-ভাতে নয়- ইজরায়েলের পদক্ষেপে এবার ব্ল্যাকআউট গাজা!

ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে যে শনিবারের আক্রমণের জেরে সেদেশে ১৫৫ সেনা-সহ ১,২০০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য দফতর বলেছে যে, হামলায় ১,০৫০ জনেরও বেশি নিহত এবং ৫,১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Israeli Airstrike

গাজা উপত্যকার জাবালিয়ায় বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩, ইজরায়েলি বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের দৃশ্য। (এপি ফটো)

ইজরায়েলের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে চতুর্দিক থেকে ঘেরা গাজা উপত্যকায় প্যালেস্তিনীয়রা যখন নিরাপত্তা খুঁজতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তখন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে হামাসের হামলার জেরে ইজরায়েলের জবাবী হামলায় গাজাবাসীর দুর্দশা আরও বাড়বে।

Advertisment

শনিবারই গাজার বিদ্যুৎ বিভাগ বলেছিল যে, তার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি বুধবার বিকেলের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। যার জেরে অঞ্চলটি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়বে। হামাসের হামলার পর, ইজরায়েল এই ভূখণ্ডে খাদ্য, জল, জ্বালানি এবং ওষুধের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। ইজরায়েল, মিশর, ভূমধ্যসাগরের মধ্যে গাজা ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ ভূমি। যা ২৩ লক্ষ প্যালেস্তিনীয়র বাসভূমি।

ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বুধবার বলেছে যে তাদের বিমানবাহিনী আন্তঃসীমান্ত গুলি চালানোর প্রতিশোধ হিসেবে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে হামলাও চালিয়েছে। লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ উত্তর সীমান্ত শহর আরামশায় ইজরায়েলি সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি বুধবার এক বিবৃতিতে দাবি করেছে যে ইজরায়েলের ওপর তাদের হামলার ফলে 'বড় সংখ্যক' সেনা আহত এবং কিছু ইজরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। হিজবুল্লাহ বলেছে যে তাদের আক্রমণটি রবিবার ইজরায়েলি গোলাবর্ষণের প্রতিক্রিয়া ছিল। ইজরায়েলের সেই গোলাবর্ষণের জেরে তিন হিজবুল্লা জঙ্গি মারা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- শুধুই হামাস, আর কারা চালায় প্যালেস্তাইন? জেনে নিন বিস্তারিত

এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবারই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। নেতানিয়াহুকে মোদী বলেছেন, 'ভারতের মানুষ এই কঠিন সময়ে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভারত দৃঢ়ভাবে এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে সন্ত্রাসবাদের সমস্ত রূপ এবং প্রকাশের নিন্দা করে।'

যুদ্ধের জন্য ইজরায়েলের স্কুলগুলো, ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। রবিবার এমনিতেই স্কুলগুলো বন্ধ ছিল। তারপর শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার থেকে স্কুলগুলো দূরশিক্ষা পদ্ধতিতে চলবে। অনলাইন অধ্যয়নে জোর দেওয়া হবে। তার মধ্যেই বুধবার ইজরায়েলে জরুরি তদারকি সরকার শপথগ্রহণ করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মত ইউরোপের ইহুদিরা ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে এই ইহুদি রাষ্ট্রের সুরক্ষার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। ব্রিটেনের বিদেশসচিব জেমস ক্লেভারলি পাশে দাঁড়ানোর বার্তা নিয়ে বুধবার ইজরায়েল সফর করেছেন।

Death army Israel-Palestine clash
Advertisment