দেশের ২৯তম সেনা প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিলেন জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। জেনারেল এম এম নারাভানের স্থালাভিষক্ত হয়েছেন লেফট্যানেন্ট জেনারেল পাণ্ডে। ভাইস চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন জেনারেল পাণ্ডে। তিনিই কর্পস অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের প্রথম অফিসার যিনি সেনাপ্রধান হলেন।
গত ১লা ফেব্রুয়ারি কর্পস অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের ভাইস চিফ হওয়ার আগে সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের হেডকোয়াটারে ব্রিগেডিয়র জেনেরাল স্টাফ (অপারেশন) প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন সেনাপ্রধান। সিকিম ও অরুণাচলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সামলাচ্ছিলেন তিনি। এছাড়া, সেনার সাউদার্ন কমান্ড হেডকোয়াটারের প্রধানের মতো পদ সামলেছেন৷ ৩৯ বছর ধরে সেনাবাহিনীতে কাজের সুবাদে সেনার পরম বিশিষ্ট সেবা পদক, অতি বিশিষ্ট সেবা পদক, বিশিষ্ট সেবা পদক-সহ একাধিক সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন তিনি৷
আন্তর্জাতিক স্তরেও শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ থেকেছেন জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। রাষ্ট্রসংঘের শান্তি রক্ষা বাহিনীর হয়ে ইথিওপিয়া ও এরিট্রেয়া মিশনে কাজ করেছেন তিনি। দুই ক্ষেত্রে মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার পদে ছিলেন জেনারেল পাণ্ডে৷ ২০২০ সালের জুন মাস থেকে ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সেনার কমান্ডে কমান্ডার-ইন-চিফ পদে ছিলেন জেনারেল পাণ্ডে৷
জেনারেল পাণ্ডে এমন সময়ে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নিলেন যখন, চিন ও পাকিস্তানের সীমান্ত বরাবর ভারত নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
গত ডিসেম্বরে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রায়ত ভারতের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল বিপিন রাওয়াত। তাঁর দ্বারাই নিরাপত্তা বাহিনীতে থিয়েটারাইজেশন পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হয়েছিল। সেনাপ্রধান হিসাবে, সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডেকেই থিয়েটার কমান্ড রোল আউট করতে সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে নৌবাহিনী এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধানের সঙ্গেও সমন্বয় করতে হবে।
সরকার এখনও জেনারেল রাওয়াতের উত্তরসূরি সিডিএস নিয়োগ করেনি।
দীর্ঘ ৩৯ বছরে সেনায় থাকা মনোজ পাণ্ডে ১৯৮২ সালে সেনার ইঞ্জিনিয়ারিং রেজিমেন্ট বম্বে স্যাপারসে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে দেশের পশ্চিম সীমান্তে, জম্ম-কাশ্মীর সীমান্তে মোতায়েন থেকেছেন।
Read in English