Advertisment

দেশে চাকরিতে অগ্রাধিকার পান পুরুষরাই, বলছে সমীক্ষা

সমীক্ষায় ধরা পড়েছে দেশের এক তৃতীয়াংশ সংস্থায় কোনও মহিলা কর্মী নেই। রিটেইল পরিষেবাতেই এ ধরণের সংস্থা সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৪৫ শতাংশ।  ৭১ শতাংশ সংস্থায় মহিলা কর্মীর সংখ্যা নগণ্যই বলা চলে, ১০ শতাংশেরও কম। মাত্র ২.৪ শতাংশ সংস্থায় পুরুষ এবং মহিলা কর্মীর সংখ্যা সমান অথবা মহিলা কর্মী বেশি। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

১০ শতাংশ সংস্থা কর্মী হিসেবে মহিলাদের নেওয়া পছন্দ করে

দেবি পক্ষের প্রাক্কালে বড় রকম এক ধাক্কা। রাস্তা ঘাটে, খেলার মাঠে সবেতেই লিঙ্গ বৈষম্য। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পক্ষ থেকে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল ভারতের চাকরির বাজারে কর্মী নিয়োগের ঝোঁক নিয়ে। সমীক্ষায় দেখা গেছে সাধারণ ভাবে অধিকাংশ নিয়োগকারী সংস্থাই নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের অগ্রাধিকার দেয়।

Advertisment

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সমীক্ষা বলছে দেশের প্রতি তিনটি সংস্থার মধ্যে একটিতে পুরুষদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কর্মী হিসেবে মহিলাদের নিয়োগের অগ্রাধিকার দেয় মাত্র ১০ শতাংশ সংস্থা। অর্থাৎ আরও স্পষ্ট করে বললে ১০ টি সংস্থার মধ্যে একটি সংস্থা অধিকাংশই মহিলা কর্মী নেয়।

'ফিউচর অব ওয়ার্ক ইন ইন্ডিয়া' শীর্ষক রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে শুক্রবার। সমীক্ষা চালানোর ব্যাপারে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামকে সাহায্য করেছে অব্জার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন।

সমীক্ষার ফলাফল আরও বলছে, প্রযুক্তি এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে যেখানে আর্থিক বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি, সে সব ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণের হার মাত্র ২৬ শতাংশ।

আরও পড়ুন, মহিলা বিধায়কদের আয় পুরুষ বিধায়কদের অর্ধেক, বলছে সমীক্ষা

আন্তর্জাতিক ছবিটা কিন্তু অনেকটাই লিঙ্গসাম্যের পক্ষে। সারা বিশ্বে কর্ম ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণের হার ৫০ শতাংশ। তবে সর্ব ভারতীয় ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা সংক্রান্ত এক সমীক্ষা থেকে সম্প্রতি জানা গিয়েছে, এ দেশে এখন ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের কলেজ যাওয়ার হারই বেশি। এবং স্নাতক স্তরে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করা পড়ুয়াদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যাই বেশি।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সমীক্ষা চালানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ছিল, প্রযুক্তি কীভাবে কর্ম সংস্থানের চরিত্র পালটে ফেলছে, তা পর্যবেক্ষণ করা। তাই সমীক্ষার আওতায় খুব ছোট সংস্থা থেকে শুরু করে ২৫ হাজার কর্মী আছে এমন সংস্থাও রাখা হয়েছিল। মূলত চারটি ক্ষেত্রে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। টেক্সটাইল, ব্যাঙ্কিং এবং আর্থিক পরিষেবা, লজিস্টিক ও পরিবহণ, রিটেইল। স্বাভাবিক ভাবেই উন্নত প্রযুক্তি হলে নিয়োগের হার কমবে। আর্থিক বৃদ্ধি বাড়লেও কর্ম সংস্থান বাড়বে না, বরং কমবে। অথচ ভারতের ক্ষেত্রে এই সত্যিটা ভয়াবহ। কারণ প্রতি বছর দেশে  কর্মক্ষম জনসংখ্যা গড়ে ১৩ লক্ষ করে বাড়ে।

সমীক্ষায় ধরা পড়েছে দেশের এক তৃতীয়াংশ সংস্থায় কোনও মহিলা কর্মী নেই। রিটেইল পরিষেবাতেই এ ধরণের সংস্থা সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৪৫ শতাংশ।  ৭১ শতাংশ সংস্থায় মহিলা কর্মীর সংখ্যা নগণ্যই বলা চলে, ১০ শতাংশেরও কম। মাত্র ২.৪ শতাংশ সংস্থায় পুরুষ এবং মহিলা কর্মীর সংখ্যা সমান অথবা মহিলা কর্মী বেশি।

অসংগঠিত ক্ষেত্রে ৬৬ শতাংশ মহিলা তার শ্রমের বিনিময়ে টাকা পান না। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে অনেক কম, ১২ শতাংশ।

Read the full story in English: https://indianexpress.com/article/india/one-in-three-companies-in-india-prefer-hiring-men-world-economic-forum-5389228/

gender equality
Advertisment