/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/12/cats-66.jpg)
যথাযথ কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে।
ওমিক্রনের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হুহু করেই। ওমিক্রনে ভর করেই ভারত সহ বিশ্বে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন এমন অনেকেই টিকার দুটি ডোজই নিয়েছেন। সেই সঙ্গে অনেকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরও আক্রান্ত হয়েছেন ওমিক্রনে।
কিন্তু কেন তিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পরও ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষজন, কী বলছেন WHO-র প্রধান বিজ্ঞানী? এই বিষয়ে খানিক আশ্বস্ত করলেন বিজ্ঞানী ডঃ সৌম্যা স্বামীনাথন। তিনি জানিয়েছেন, বহুদেশে টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও অনেকেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তারপরেও সংক্রমণ রুখতে টিকার গুরুত্ব রয়েছে।
যেহেতু টিকার কারণেই সংক্রমণ গুরুতর আকার ধারণ করছে না।”অর্থাৎ তাঁর কথায়, টিকার কারণেই ডেল্টার মত প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে না ওমিক্রন। যদিও ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকে প্রায় ৫ গুন বেশি। তা সত্ত্বেও স্রেফ টিকার কারণেই বড় বিপদ অনেকাংশে এড়ানো যাবেই বলে বলে করছেন তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী বুধবার একটি টুইট করেন। সেখানে লেখেন, “যেমনটা আশা করা হয়েছিল, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে টি সেল (T-Cell) ভাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলছে। এই টি সেলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই আমাদের গুরুতর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। ফলে এখনও যাঁরা ভ্যাকসিন নেননি, তাঁরা শীঘ্রই করোনার টিকা নিন।”বয়স এবং শরীর অনুপাতে সকলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সমান নয়, তাই টিকা নেওয়ার বেশ কয়েকদিন পার হয়ে গেলে করোনার নয়া প্রজাতিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকক্ষেত্রেই থেকে যায়। তাই যথাযথ কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে।
As expected, T cell immunity holding up better against #Omicron. This will protect us against severe disease. Please get vaccinated if you haven't! https://t.co/PK2gmVHIGG
— Soumya Swaminathan (@doctorsoumya) December 29, 2021
টিকার কার্যকারিতা প্রসঙ্গে ডঃ সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন, ‘টিকাকরণের পর কিছুটা সময় অতিবাহিত হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে ধীরে ধীরে। টিকাকরণের পরেও করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণ এটাই। বিশেষত ওমিক্রনের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিয়ে ঢুকে পড়ছে ওমিক্রন। এই কারণেই নয়া স্ট্রেনের সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজন আরও বেশি পরিমাণে অ্যান্টিবডি।”