ফের করোনার নয়া প্রজাতির সন্ধান মিলল ভারতে। দেশে এবার মিলল ওমিক্রনের এই সাব-ভ্যারিয়্যান্ট BA.4এর। এ ব্যাপারে দ্বিতীয় বার নিশ্চিত হওয়ার জন্য ভারতীয় SARS-CoV-2 Consortium on Genomics (INSACOG) -তে নমুনা পাঠানো হয়েছে। INSACOG এর তরফে এই ভাইরাসের সংক্রমণের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে ভারতে এখন পর্যন্ত এই ভ্যারিয়েন্টে দু’জনের আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। একজন হায়দ্রাবাদের এবং অন্যজন চেন্নাইয়ের বাসিন্দা। ভাইরাসের এই নয়া প্রজাতি ছড়িয়ে পড়ার খবরে বাড়ছে উদ্বেগ। সূত্র মারফৎ পাওয়া খবর অনুসারে জানা গিয়েছে চেন্নাইয়ে সাব-ভ্যারিয়্যান্ট BA.4এ আক্রান্ত হয়েছেন এক যুবতী।
চতুর্থ ঢেউ প্রসঙ্গে IIT কানপুরের গবেষকরা দাবি করেছিলেন, চলতি বছরের জুন মাসের ২২ তারিখ থেকেই দেশে করোনার নতুন ঢেউ শুরু হতে পারে। এই ঢেউয়ের ভয়াবহতা চলবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। IIT কানপুরের বিশেষজ্ঞরা আরও দাবি করেছিলেন, চতুর্থ ঢেউয়ের ক্ষেত্রে সংক্রমণ শিখর ছুঁতে পারে ১৫ থেকে ৩১ অগাস্টের মধ্যে। এরপরে নিম্নমুখী হবে কোভিড গ্রাফ।
ইউরোপীয় সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন ওমিক্রনের দুই নতুন প্রজাতি BA.4 এবং BA.5 কে ‘উদ্বেগের নয়া রূপ’ হিসাবে ঘোষণা করেছে। এই দুই ভ্যারিয়েন্টকেই দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিডের পঞ্চম ঢেউয়ের অন্যতম কারণ হিসাবেও উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের ক্ষেত্রে করোনার তৃতীয় ঢেউকালীন ওমিক্রনের BA.1 এবং BA.2 ভ্যারিয়েন্টের দাপট দেখা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভূগর্ভস্থ মাটি দুর্বল, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত KMRCL-এর
তবে INSACOG এর তরফে এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম।
এপ্রসঙ্গে INSACOG-এর প্রধান ডাঃ সুধাংশু ব্রতী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এখনই চিন্তার কোন কারণ নেই। এই ভাইরাসের প্রভাবে ভারতে ডেল্টার মত গুরুতর সংক্রমণের সম্ভাবনা কম, তবে আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই করোনার টিকা নিয়েছেন সেক্ষেত্রে নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের কোন কারণ নেই'।
Read full story in English