মঙ্গলবারই জানা গিয়েছে ব্রিটেন থেকে ভারতে ফেরা কোভিড পজিটিভ যাত্রীদের মধ্যে ৬ জনের দেহে মিলেছে ব্রিটেনের করোনার ওই সংক্রমক স্ট্রেন। এই পরিস্থিতিতে ডিসেম্বরের ৯ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত দেশে আগত ব্রিটেন ফেরত উপসর্গযুক্ত করোনা পজিটিভ যাত্রীদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করার নিদের্শ দিল কেন্দ্র।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, শুধু ব্রিটেন থেকে নয় বিদেশ থেকেই যারা এসেছেন ওই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেই সকল উপসর্গ ব্যক্তিদের জিনোমও পরীক্ষা করা হবে। সেই সিকোয়েন্সের সঙ্গে মেলানো হবে ব্রিটেনের করোনা স্ট্রেন। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, "যারা যারা এইসকল ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদেরকেও আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। যতটা সম্ভব সন্ধানের কাজ হচ্ছে। নমুনা নিয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজও চলছে।"
আরও পড়ুন, দেশের ৪ রাজ্যে শুরু ভ্যাকসিনের ড্রাই-রান
এদিকে, ব্রিটেনের পরিস্থিতি ক্রমশই সঙ্কটজনক হয়ে উঠছে। সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রধান জানান যে অতিমারীর অবস্থা এতটাই খারাপ হাসপাতালে রাখার জায়গা হচ্ছে না রোগীদের। এই স্ট্রেন এত সংক্রমক যে অল্প সময়েই অনেকেই আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন এই ভাইরাসে। সোমবারই সেখানে সে দেশে আক্রান্ত হয়েছে ২০ হাজার ৪২৬ জন। যা এখনও পর্যন্ত ব্রিটেনের করোনা ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এদিনই কেন্দ্রের তরফে জানান হয় যে ভ্যাকসিন নিয়ে ভাবনার কিছু নেই। নয়া স্ট্রেনের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কাজ করবে না এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বলা হয়েছে, বেশিরভাগ ভ্যাকসিনগুলি স্পাইক প্রোটিনকে লক্ষ্য করে, যেখানে বিভিন্ন ধরণের পরিবর্তন রয়েছে তবে ভ্যাকসিনগুলি সেগুলিকে প্রতিরোধ করতে পারবে এমনই আশা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন