ব্যয় কমাতে স্টেশন পরিচ্ছন্নে স্পনসরের পরিকল্পনা রেলের

আয় ব্যায়ের মধ্যে ফারাক বিস্তর। সমস্যায় ভারতীয় রেল। এই পরিস্থিতি থেকে রেলকে বার করে আনতে স্বল্পকালীন বেশ করেকটি পদক্ষেপের প্রস্তাব রেলওয়ে বোর্ডের।

আয় ব্যায়ের মধ্যে ফারাক বিস্তর। সমস্যায় ভারতীয় রেল। এই পরিস্থিতি থেকে রেলকে বার করে আনতে স্বল্পকালীন বেশ করেকটি পদক্ষেপের প্রস্তাব রেলওয়ে বোর্ডের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ভোরে শিয়ালদহ বনগাঁ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যহত।

আয় ব্যায়ের মধ্যে ফারাক বিস্তর। সমস্যায় ভারতীয় রেল। এই পরিস্থিতি থেকে রেলকে বার করে আনতে স্বল্পকালীন বেশ করেকটি পদক্ষেপের প্রস্তাব দিয়েছে রেলওয়ে বোর্ড। ট্রেন ও প্ল্যাটফর্ম পরিষ্কার রাখতে এবার স্পনসরের সংস্থাকে কাজে লাগাতে চাইছে ভারতীয় রেল। এছাড়া, খরচ কমাতে ৩০ বছরের বেশি সময়কালের ডিজেল ইঞ্জিন বাতিল, কম চাহিদার ট্রেন বন্ধ সহ নানা পদক্ষেপের কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

Advertisment

ভারতীয় রেলের আয় ক্রমশ কমছে। বছর শেষে ঘাটতি গিয়ে পৌঁছেছে প্রায় ৩০ হাজার কোটিতে। এই অবস্থায় যাত্রী বা পণ্য ভাড়া না বাড়িয়ে খরচা কমানোর বিকল্প উপায় খঁজছে রেলমন্ত্রক। তাই, স্বল্পকালীন ভিত্তিতে রেলওয়ে বোর্ড নানা পদক্ষেপের কথা ভেবেছে।

আরও পড়ুন:  জীর্ণ টালা ব্রিজের একাংশ মেরামতির জন্য রেলকে অনুরোধ রাজ্যের

Advertisment

রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান, ভি কে যাদবেরর কথায়, 'জুলাই পর্যন্ত ভারতীয় রেলের আয়-ব্যয়ের সামঞ্জস্য় ঠিক ছিল। কিন্তু আগস্ট থেকে তার ফারাক বিস্তর হয়েছে। বন্য যার অন্যতম বড় কারণ বলে মনে হচ্ছে।' চলতি বছরের আগস্টে ভারতীয় রেলের আয় যেখানে মাত্র বেড়েছে ৩.৪ শতাংশ, তখন ব্যয়ের মাত্রা প্রায় ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ব্যয় কমাতে ইতিমধ্যেই কয়েকটি পদক্ষেপের প্রস্তাব দিয়েছে রেল বোর্ড। যেমন, ট্রেন ও প্লাটফর্ম পরিচ্ছন্ন রাখতে কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সের আওতায় বিভিন্ন সংস্থার স্পন্সরের কথা বিবেচনা করতে হবে। বিভিন্ন জায়গার স্টাফ কোয়ার্টারের মেরামতি করতে হবে। এক্ষেত্রে রেলের জায়গাকেই কাজে লাগাতে হবে। ৩০ বছরের পুরোন ডিজেল ইঞ্জিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। জ্বালানীর ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া, রেলকে লাভের মুখ দেখাতে স্পনসর যোগাড় করতে হবে। ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব রেলওয়ে বোর্ড সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখ জোনাল কমিটিগুলির কাছে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ, উদ্যোক্তাদের দ্বন্দ্ব চরমে

এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা সঞ্চয় করা যাবে। এই অর্থ ইতিমধ্যেই বাজেট বহির্ভূতভাবে খরচ হয়ে গিয়েছে। রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল প্রথামিকবাবে রেলের অপরেটিং রেশিও টার্গেট ৯০ শতাংশ বলেছিলেন। যদিও বাজেট অনুশারে যা ছিল ৯৫ শতাংশ। সূত্রের খবর, বর্তমানে এই রেশিও প্রায় ১০০ শতাংশ হবে।

রেলের কর্তাদের মতে, এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত সমস্য়া গভীরে পৌঁছায়। তবে, সেপ্টেম্বরের পরিসংখ্যান এখনও পাওয়া যায়নি।

Read the full story in English

indian railway