কানাডায় ভারতীয় পড়ুয়াকে নৃশংসভাবে খুন। গাজিয়াবাদের বাসিন্দা কার্তিক বাসুদেবকে বৃহস্পতিবার টরন্টোর একটি মেট্রো স্টেশনের বাইরে দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করে। মেট্রো থেকে বেরিয়ে তিনি বাস ধরতে যাচ্ছিলেন। টরন্টোয় পড়াশোনার পাশাপাশি একটি পার্ট-টাইম চাকরি করতেন তিনি। কানাডার একটি পোর্টালে কার্তিকের কালো ব্যাগ এবং সাদা জুতো দেখে ঘটনার কথা জানতে পারেন তাঁর এক আত্মীয়।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কার্তিকের মৃত্যু হয়েছে গুলি লেগে। শেরবোর্ন মেট্রো স্টেশনের বাইরে একাধিক গুলির আওয়াজ পাওয়া যায় সেদিন রাতে। কার্তিকের পরিবার শুক্রবার দুপুরে ছেলের মৃত্যুর খবর পান। কিন্তু কেন মারা হল কার্তিককে তা নিয়ে কোনও তথ্য জানা যায়নি।
কার্তিকের বাবা জিতেশ বাসুদেব বলেছেন, "বৃহস্পতিবারই শেষবার ছেলের সঙ্গে কথা হয়। কার্তিক বলেছিল ও কাজে যাচ্ছে। পড়াশোনার পাশাপাশি একটি মেক্সিকান রেস্তোরাঁয় ও কাজ করত। কয়েক ঘণ্টা পর ওর ফোন সুইচ অফ পাওয়া যায়। ওঁর এক তুতো বোন একসঙ্গেই থাকত। সে-ই পুলিশকে খবর দেয়। এর পর নিউজ পোর্টালে খবর দেখে কার্তিকের মৃত্যুর খবর জানতে পারে।"
কার্তিক টরন্টোর সেনেকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোন করছিলেন। প্রথম বর্ষের ছাত্র তিনি। জানুয়ারি মাসেই কানাডায় এসে তুতো বোনের সঙ্গে একটি ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেন কার্তিক। কলেজে যোগ দেওয়ার পর ডাউনটাউন এলাকায় একটি রেস্তরাঁয় কাজ জুটে যায় কার্তিকের। প্রত্য়েকদিন সাবওয়ে থেকে বেরিয়ে বাস ধরে কাজে যেতেন।
আরও পড়ুন ভারতে গুজরাটেই প্রথম করোনার XE ভেরিয়েন্ট আক্রান্তের সন্ধান মিলল
জিতেশ জানিয়েছেন, কার্তিকের বোন পুলিশকে জানায়, সে নিখোঁজ। কার্তিকের রেস্তরাঁর ম্যানেজারও তাঁকে ফোনে করে বলেন, কার্তিক কাজে আসেনি। কার্তিকের নিরুদ্দেশ হওয়া নিয়ে দুজনের কথা হচ্ছিল, তখনই মোবাইলে খবর দেখে কার্তিককে চিনতে পারেন তুতো বোন।