নুপুর শর্মাদের নিয়ে গন্ডগোলের রেশ কাটেনি। শুধু দেশেই না। এর আঁচ পড়েছে বিদেশেও। হজরত মহম্মদকে নিয়ে নুপুর শর্মার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ ইসলামিক দেশগুলো। তারা একে একে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার পথে হাঁটছে। নুপুর শর্মাদের মতো কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে আল কায়দার মতো ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলো।
এই পরিস্থিতিতে নুপুর শর্মাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের হিন্দুত্ববাদী নেতা যতি নরসিংহানন্দ। শুধু পাশে দাঁড়ানোই নয়। তিনি জানিয়েছেন, নুপুর শর্মারা হজরত মহম্মদ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ঠিক কথা বলেছেন। সেকথা বোঝানোর জন্য তিনি জামা মসজিদেও যাবেন। সঙ্গে নিয়ে যাবেন কোরান এবং ইসলামিক সাহিত্যের বিভিন্ন বই।
কবে যাবেন, সেই দিনও ঘোষণা করেছেন নরসিংহানন্দ। তিনি জানিয়েছেন, জুম্মাবার বা শুক্রবারে যাবেন দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামিক প্রার্থনাকেন্দ্রে। কেন তিনি শুক্রবারকে বেছে নিচ্ছেন, তা-ও জানিয়েছেন এই হিন্দুত্ববাদী নেতা। তাঁর দাবি, ওই দিনটিতে মসজিদে বহু মুসলিম মৌলবি ভিড় করেন। তাঁদেরকে তিনি বোঝাবেন যে নুপুর শর্মা হজরত মহম্মদ সম্পর্কে ঠিকই বলেছেন। আর, সেই জন্যই কোরান আর ইসলামিক ইতিহাসের বিভিন্ন বই সঙ্গে নিয়ে যাবেন।
রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে একথা জানিয়েছেন নরসিংহানন্দ। এমনিতে জামা মসজিদে সারাবছর ভিড় লেগেই থাকে। বিশেষ করে জুম্মাবারে বিশেষ প্রার্থনার জন্য ভিড় বেশি হয়। ফলে, নরসিংহানন্দের ওপর হামলার আশঙ্কা থাকছেই। তাঁর যদি কিছু হয়ে যায়, বড়সড় গন্ডগোল শুরু হয়ে যাবে। কারণ, হিন্দুত্ববাদীরাও সেক্ষেত্রে পথে নেমে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন- বাসে পা রাখলেই মিলবে ঠাণ্ডা জল, কন্ডাক্টরের মহানুভবতাকে ধন্য ধন্য করছেন নেটিজেনরা
এমনিতেই নুপুর শর্মাদের মন্তব্যের পর কানপুরে ব্যাপক হাঙ্গামার সাক্ষী হয়েছে উত্তরপ্রদেশ। যা সামলাতে রীতিমতো কালঘাম ছুটেছে প্রশাসনের। এরপর যদি জামা মসজিদ ঘিরে গন্ডগোল শুরু হয়, তার আঁচ পড়বে গোটা দেশে। কারণ, জামা মসজিদকে অনুসরণ করেই চলেন দেশের বিভিন্ন মসজিদের ইমামরা।
তড়িঘড়ি তাই যদি নরসিংহানন্দকে নোটিস পাঠিয়েছে গাজিয়াবাদ জেলা প্রশাসন। তাঁকে অনুরোধ করেছে, দয়া করে জামা মসজিদে যাওয়ার পরিকল্পনা ত্যাগ করতে। যদিও এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে পালটা বক্তব্য জানাননি যদি নরসিংহানন্দ।
Read full story in English