গাজিপুরে কৃষকদের সরাতে পুলিশি আগ্রাসনে হিতে বিপরীত হতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বাড়তে পারে কৃষক আন্দোলনের তীব্রতা। জায়গা খালি করতে পুলিশ যেভাবে উঠেপড়ে লেগেছিল, তাতে কৃষকদের আত্মসম্মানে ঘা লেগেছে। বিশেষ করে যাঁরা জাঠ সম্প্রদায় তাঁদের। এই সম্প্রদায়ের গুরুত্ব আছে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা আর রাজস্থানে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একাধিক বিজেপি সাংসদ ও গাজিয়াবাদ বিজেপির নেতারা এমন দাবি করেছেন। তাঁরা বলেছেন, 'ওভাবে পুলিশ পাঠিয়ে নোটিশ ধরিয়ে এখুনি জায়গা ফাঁকা করানোর পরিকল্পনা ঠিক ছিল না। বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনার পর মুজফরনগরে শুক্রবার সরকার-বিরোধী মহাপঞ্চায়েত বসেছিল। জিআইসি গ্রাউন্ডে প্রায় দশ হাজার লোকের জমায়েত হয়েছিল।পাশের বহু জেলা থেকে জিপ এবং ট্রাকে করে এসেছিলেন কৃষকরা। পাশাপাশি কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি থেকেও জমায়েত ছিল।'
জানা গিয়েছে, সিঙ্ঘু, গাজিপুর সীমান্তে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে আরও লোক পাঠানো হবে। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তাঁরা দিল্লি সীমান্তের দিকে এগোবে। বিজেপি নেতা-কর্মীর দাবি, 'বৃহস্পতিবারের পুলিশি আগ্রাসনের পর কৃষক আন্দোলনের নেতা টিকাইতকে ক্যামেরায় কাঁদতে দেখা গিয়েছে। হাতজোড় করে অনুনয়-বিনয় করতে দেখা গিয়েছে। আর এতেই আরও চটেছে জাঠ সম্প্রদায়। তাদের মনে হয়েছে ঘরের ছেলে কাঁদছে। তাঁর পাশে দাঁড়ানো দরকার।' এই প্রসঙ্গে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদদের মত, 'লালকেল্লার ঘটনার পর সরকার একটা সমঝোতার পথ খুঁজে পেয়েছিল। কিন্তু গাজিপুরের পুলিশি আগ্রাসন, কৃষক আন্দোলনকে আরও মজবুত করে দিল।'