Coimbatore's fake instructor pushes student to death, video: কলেজের ক্যাম্পাসে বিপর্যয় মোকাবিলা ড্রিলের সময় ট্রেনারের অসাবধানতা এবং হঠকারিতায় মৃত্যু হল এক ছাত্রীর। এদিন কলেজ বিল্ডিং-এর কার্নিশে বসে ড্রিলের জন্য প্রস্তুতি চলছিল বছর ১৯-এর ওই ছাত্রীর। তাঁর পিছনেই দাঁড়িয়েছিলেন ড্রিলের ট্রেনার। হঠাৎই মেয়েটিকে ধাক্কা মারেন ট্রেনার এবং আচমকা পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় মেয়েটির। জানা গিয়েছে, কোয়েম্বাটুরের কোভাই কালাইমাগাল আর্টস অ্যান্ড সাইন্স কলেজের দ্বিতীয় বর্ষ বিবিএ-র ওই ছাত্রীর নাম লোগেশ্বরী।
এই ঘটনার ভিডিওতেও দেখা গিয়েছে একই ছবি। পুলিশ জানায়, ট্রেনিং চলাকালীন ছাত্রীক বারবারই কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দিতে বলছিলেন ওই ট্রেনার। ছাত্রী নিজে থেকে ঝাঁপ না দেওয়ায় তাঁকে পেছন থেকে ধাক্কা দেন ট্রেনার আর আরুমুগাম। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, "স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে যে ছাত্রীটি ঝাঁপ দেওয়ার জন্য তৈরি ছিলেন না। তা সত্ত্বেও তাঁকে ঠেলে ঝাঁপ দিতে বাধ্য করেন ট্রেনার।"
পুলিশ সূত্রে খবর, কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং ওই ট্রেনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ট্রেনারকে অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বলা হচ্ছে যে ওই ট্রেনারের নিজেরই এই ধরনের ড্রিল পরিচালনা করবার প্রশিক্ষণ ছিল না, যদিও এই তথ্যের সত্যতা এখনও যাচাই করা যায় নি।
ড্রিলের প্রস্তুতির সময় কলেজ বিল্ডিং-এর নীচেই সেফটি নেট নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা, তিনতলার কার্নিশ থেকে লাফিয়ে এই জালেই পড়ার কথা ছিল লোগেশ্বরীর। তবে তার আগেই দোতলার কার্নিশে মাথা ঠুকে যায় তাঁর। পুলিশ সূত্রে খবর, মাথায় এবং ঘাড়ের এক দিকে লেগে গুরুতর জখম হন লোগেশ্বরী। আহত অবস্থায় কোয়েম্বাটুর গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
নারাসিপুরমের ওই কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথারিটি অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে চলে এই ড্রিলের প্রশিক্ষণ। তাঁরা আরও জানান, ওই ছাত্রীর আগে আরও পাঁচজন ছাত্রছাত্রী একই ভাবে তিনতলার ওই কার্নিশ থেকে সুরক্ষিত ভাবেই ঝাঁপ দিয়েছিলেন প্রশিক্ষণ চলাকালীন, তাঁদের কোনও ক্ষতি হয়নি।