যৌন হেনস্থার প্রতিবাদ করায় চলন্ত ট্রেনের সামনে ধাক্কা দিয়ে ফেলা হল বছর ১৭-এর এক কিশোরীকে। হাড়হিম ঘটনায় তোলপাড় যোগীরাজ্য। চলন্ত ট্রেনের সামনে ঠেলে ফেলে দেওয়ার ফলে গুরুতর আহত হয় ওই কিশোরী। জানা গিয়েছে কিশোরীর একট হাত ও দুটি পা বাদ দিতে হয়েছে। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অবহেলার জন্য তিন পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন বছর ১৭-এর এক কিশোরী। তারই জেরে চলন্ত ট্রেনের সামনে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হল এক কিশোরীকে। এই ঘটনায় ওই কিশোরীর একটি হাত এবং দুটি পা বাদ গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বেরেলি শহরের সিবি গঞ্জ এলাকায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় মেয়েটির শরীরের একাধিক হাড় ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা শাসক জানিয়েছেন, এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তিনজন পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মেয়েটির বাবা হাড়হিম ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার নাগাদ মেয়ে কোচিং সেন্টার থেকে ফিরছিল। তখন তার গ্রামেরই এক যুবক বিজয় মৌর্য তাকে বাধা দেয়। অশ্লীল কথা বলে এবং তাকে হয়রানি করতে থাকে । এর প্রতিবাদ করে মেয়ে। বাবা তাঁর অভিযোগে বলেছেন যে মৌর্যকে অন্য ২ যুবক মেয়েকে তাড়া করতে দেখেছে। বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে, অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ধারা একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে যে তার বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারাও আরোপ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই যুবককে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
বেরেলির জেলা শাসক রবীন্দ্র কুমার সাংবাদিকদের বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মেয়েটির পরিবারকে ৫ লাখ টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেছেন। মেয়েটির অবস্থা সংকটজনক। চিকিৎসার পুরো খরচ সরকার বহন করবে বলেও জানান তিনি ।
প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করেন এবং তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। হাসপাতালের সুপার ডাঃ ওপি ভাস্কর বলেন, মেয়েটির দুটি পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলা হয়েছে এবং তার একটি হাতও বাদ গিয়েছে। কিশোরীর অবস্থা সংকটজনক।