শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শ্রেণীকক্ষের মধ্যে হিজাব পড়া যাবে না। আদালতের নির্দেশ তুলে ধরে পড়ুয়াদের তা ফের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মানতে রাজি নয় ছাত্রীদের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পরামর্শের পরদিনই হিজাব পরে একদল মেয়ে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়েছিল। যা ঘিরে ফের বিতর্ক তৈরি হয়।
শনিবার সকালে রেকর্ড করা একটি ভিডিওতে কলেজের অধ্যক্ষা অনুসূয়া রাইকে শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্মের নিয়ম সম্পর্কে বোঝাতে দেখা গিয়েছে। ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর, অধ্যক্ষ এবং সিন্ডিকেটের সদস্যদের সঙ্গে কলেজ ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (সিডিসি) ডাকা বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, ১৫ মার্চ কর্নাটক হাইকোর্টের আদেশ কার্যকর করা হবে এবং ক্লাসরুমের ভিতরে হিজাব পরার অনুমতি দেওয়া হবে।
এরপরই মেঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব পডরে বেশ কিছু ছাত্রী ক্লাস করতে আসেন। তারপরই তাদের ফেরত পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য সুব্রহ্মণ্য ইয়াদাপাদিথায়ের মতে, তাদের অন্যান্য কলেজে স্থানান্তরের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হবে যেখানে ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক নয় এবং হিজাব অনুমোদিত। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই বলেছেন, 'বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সিন্ডিকেট সভায় সমাধান করা হয়েছে। হিজাব ইস্যুতে আদালত তার আদেশ দিয়েছেন এবং সবাইকে আদালতের আদেশ মানতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের কলেজ প্রশাসনিক বোর্ড বা যে সমস্ত কলেজে CDC নেই সেখানে অধ্যক্ষের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। এইসব বিতর্কের চেয়ে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করা শিক্ষার্থীদের পক্ষে ভালো।'
Read in English