Advertisment

'আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি যে ভারত ভাগ হয়েছে'

"বিভিন্ন দিক থেকে আমার মনে হত যে গান্ধীজি জিন্নাকে প্রশয় দিতেন। ১৯৪৪ সালে তিনি জিন্নার মালাবার হিলস-এর বাড়িতে ১৭ বার গিয়েছিলেন। কিন্তু জিন্না কিন্তু গান্ধীজিকে দেখতে একবারও আসেননি।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার মন্তব্য চাঞ্চল্য ছড়াল রাজনীতির অন্দরে। এক্সপ্রেস ফোটো- নীরজ প্রিয়দর্শী

সিএএ, 'ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ভাগ' নিয়ে মোদী-শাহের পদ্ম ব্রিগেডের বিরুদ্ধে উত্তাল হয়েছে দেশ। সেই আবহেই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার মন্তব্য চাঞ্চল্য ছড়াল রাজনীতির অন্দরে। রবিবার কে নটবর সিং বলেন, "আমি অত্যন্ত খুশি যে ভারত বিভক্ত হয়েছে। তা না হলে মুসলিম লিগ দেশে কোনও কাজই করতে দিত না। এমনকি সরাসরি অনেক 'অ্যাকশন'ও নিত।" প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ এম জে আকবরের নতুন বই “Gandhi’s Hinduism: The Struggle Against Jinnah’s Islam” বইয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন নটবর সিং। বইটি নিজের বাসভবনে উদ্বোধন করেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।

Advertisment

ঠিক কী বলেছেন?

কংগ্রেস নেতা নটবর সিং বলেন, "আমার মতে, আমি অত্যন্ত খুশিই হয়েছি ভারত ভাগ নিয়ে। কারণ ভারত ভাগ না হলে হয়তো আমাদের আরও অনেক ডিরেক্ট অ্যাকশন ডে দেখতে হত। জিন্নার জীবদ্দশায় ১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্ট প্রথমবারের জন্য এই ডিরেক্ট অ্যাকশন ডে হয়েছিল কলকাতায়। যেখানে হাজার হাজার হিন্দুদের মেরে ফেলা হয়েছিল এবং অবশ্যই বিহারে কয়েক হাজার মুসলিমদের মেরে তাঁর প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছিল। তবে এটাও ঠিক যে মুসলিগ থাকলে দেশে কোনও কাজই হত না।"

আরও পড়ুন: ‘প্রতারণার বাজেট, কল্পতরু হতে চেয়েও পারেনি মমতা সরকার’

দেশভাগের ইতিহাস রোমন্থন করে নটবর সিং বলেন, "মহম্মদ আলি জিন্নার নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগের তরফে মুসলিমদের পৃথক জাতি গঠন করার আহ্বান জানিয়েছিল। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের সময় ১৯৪৬ সালে কলকাতায় মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়েছিল তা কলকাতা কিলিং নামেই পরিচিত।" তবে গান্ধী এবং জিন্না এই দু'জন নেতাকে "দুর্দান্ত" এবং ব্যক্তিত্বে "কঠিন" হিসাবেই উল্লেখ করেন নটবর সিং। অশীতিপর এই নেতার বক্তব্য, "তাঁদের দু'জনের সঙ্গে থাকাই অত্যন্ত কঠিন ছিল। মান-এ অনেক উঁচু ছিলেন গান্ধীজি, অন্যদিকে মেজাজে ততোটাই রূঢ় ছিলেন জিন্নাহ। তবে বিভিন্ন দিক থেকে আমার মনে হত যে গান্ধীজি জিন্নাকে প্রশয় দিতেন। ১৯৪৪ সালে তিনি জিন্নার মালাবার হিলস-এর বাড়িতে ১৭ বার গিয়েছিলেন। কিন্তু জিন্না কিন্তু গান্ধীজিকে দেখতে একবারও আসেননি।"

আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসকে ‘নজরবন্দি’ করতে চোখ রাখা হবে হোয়াটসঅ্যাপেও, জানাল মোদী সরকার

এদিকে, এম জে আকবরের বইয়ের উদ্বোধনে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, বইটি একটি "সুচিন্তিত" এবং "গভীরভাবে গবেষণা করা"র জন্য লেখা হয়েছে। যা বিভাজনের ইতিহাস বিশ্লেষণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে।

Read the Full story in English

Mahatma Gandhi
Advertisment