লকডাউন শিথিল হয়েছে, একই সঙ্গে পরিযায়ীরা ঘরে ফিরছেন। গত কয়েকদিনে ভারতে করোনা সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, রাজ্যভিত্তিক বিশ্লেষণমূলক পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট হয়েছে যে, দেশে মোটা করোনা আক্রান্তের মধ্যে অতি সংকটজনক রোগীর সংখ্যা ক্রমশ নিম্নমুখী। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি, তামিনলাড়ুর মতো যেসব রাজ্যে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি, সেখানেও এই প্রবণতা ধরা পড়েছে। বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়ে পরিযায়ীরা ফেরায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা প্রতিদিনের নিরিখে বেড়েছ। কিন্তু, সেই তুলনায় অতি সংকটজনক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি।
২৭ মে পর্যন্ত দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ৮৩,০০৪ জন। এর মধ্যে ৩,৫০০ জনের অক্সিজেন, আইসিইউ-য়ের মত চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল। মোট ১,৮৬৮ রোগী আইসিইউতে ছিলেন(২.২৫ শতাংশ)। এর মধ্যে ১৫৮৫ জনের অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছিল।
চলতি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত, দেশে ১৮,৮৫৫ ভেন্টিলেটর ছিল। পরে অবশ্য সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত ৬০ হাজার ভেন্টিলেটরের বরাত দেওয়া হয়। এই পরিসংখ্যানই স্বস্তি দিচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রককে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতিও ধরা পড়েছে বলে মনে করছে মন্ত্রক।
লকডাউন প্রসঙ্গে নীতী আয়োগের চেয়ারম্যান ডাঃ বিনোদ পাল বলেন, 'মহামারী রোধ ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আনা প্রাথমিক লক্ষ্য। বিধিনিয়ন্ত্রণে সামঞ্জস্যতা আনতে হবে। আমাদের চিকিৎসা পরিকাঠামোর তুলনায় মহামারী বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ সুনিশ্চিৎ করতে হবে।'
ছত্তিশগড়,ঝাড়খণ্ড, বিহারে পরিযায়ীরা করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু, তুলনায় অতি সংকটজনক রোদীর সংখ্যা বেশ কম। এর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। উত্তরপ্রদেশে ফেরা ২,৬৮০ পরিয়াযী শ্রমিক রোগীর মধ্যে ৬১ জন আইসিইউ চিকিৎসায় রয়েছেন, ৩৮ জনের অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ছে। কোনও রোগী ভেন্টিলেটরে নেই। মহারাষ্ট্রে করোনায় মৃতদের মধ্যে মাত্র ২.২১ শতাংশ রোগী ভেন্টিলেটর সহায়তায় ছিলেন। দিল্লিতে সেই সংখ্যা ৩.৫৬ শতাংশ।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৬৫,৭৯৯। মৃত্যু হয়েছে ৪,৭০৬ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭১,১০৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭,৪৬৬ জন। এখনও পর্যন্ত এটাই সর্বাধিক।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন