মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম রঞ্জিত সং দিসালের। ছোট থেকেই পড়াশুনার প্রতি ভাললাগা তাকে সকলের থেকেই আলাদা করে তুলেছিল। চরমতম দারিদ্র্যতাকে উপেক্ষা করে ছোট থেকে পড়াশুনা চালিয়ে গেছেন দিসালে। পরবর্তীতে গ্রামের ভোল বদল করতে শিক্ষকতাকেই বেছে নেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের জেলা পরিষদ স্কুলে শিক্ষকতা করেন তিনি। ইতিমধ্যেই পেয়েছেন বিশ্ব শিক্ষক পুরস্কার। সেই সঙ্গে পেয়েছেন বিশ্বব্যাঙ্কের শিক্ষাসংক্রান্ত পরামর্শ দাতার পদও। সেই রঞ্জিত সিং দিসালে হঠাৎ করেই স্কুল শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
জানা গিয়েছে মার্কিন মুলুকে উচ্চশিক্ষার জন্য অনেকটা সময় কাটাতে হবে তাকে তাই বুঝে শুনেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। রঞ্জিত সং দিসালে ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার প্রচারে এবং বিশেষ কিউ আর পদ্ধতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা সূচনার জন্য তিনি বিশ্ব শিক্ষা পুরস্কার পান ২০২০ সালে।
হঠাৎ করেই তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি হয়েছে চাপানোতর। যদিও সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দিসালে বলেন, “ গত ৭ জুলাই আমি আমার পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। আমাকে উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা যেতে হবে এবং বেশ কয়েক মাস থাকতে হবে তাই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে”।
আরও পড়ুন: <প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি: ‘CBI-র আতশ কাচে ৪২২৬৯ শিক্ষক’, দাবি সূর্যকান্তের>
পাশাপাশি তিনি বলেন, “৬ মাসের ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ ৮ আগস্ট শুরু হবে। এটি শেষ হওয়ার পর অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষা নীতি সংক্রান্ত গবেষণায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরিকল্পনা রয়েছেন”।
জেলা পরিষদের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দিসেলের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, “পদত্যাগ করলেও আগামী একমাসের নোটিশ পিরিয়ডে দিসেল স্কুলের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন”।