Advertisment

লকডাউনে বিশ্বের ঘরে ঘরে হিংসা বৃদ্ধি, উদ্বেগ প্রকাশ রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের

টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে গুতেরাস উল্লেখ করোনাভাইরাসের জন্য লকডাউন ব্যবস্থায় কীভাবে হিংস্রতার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরাস।

বিশ্ব আতঙ্কিত করোনার দাপটে, বিভিন্ন দেশে লকডাউনের আবহেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে ঘরে ঘরে হিংসাও। সেই মর্মে এবার সব দেশের রাষ্ট্রনেতাদের কাছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আর্জি জানালেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরাস। সোমবার তিনি জানান যে এই লকডাউনের বিশ্বে "মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে গার্হস্থ্য হিংসা"। তাই অবিলম্বে সেদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন সব সরকারকে।

Advertisment

আন্তোনিও গুতেরাস বলেন, "কোভিড-১৯ ভাইরাস মোকাবিলার পরিকল্পনার পাশাপাশি মহিলাদের উপর নির্যাতন প্রতিরোধের বিষয়টিও পর্যালোচনা করতে আমি সমস্ত সরকারকে আহ্বান জানিয়েছি।" টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে গুতেরাস উল্লেখ করোনাভাইরাসের জন্য লকডাউন ব্যবস্থায় কীভাবে হিংস্রতার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, “কোভিড -১৯ দমনের জন্য লকডাউন এবং কোয়ারেন্টাইন অপরিহার্য। তবে এর ফলে মহিলাদের উপর অত্যাচারও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভয়াবহ ভাবে বেড়েছে হিংসার ঘটনা। কিছু দেশে মহিলাদের সুরক্ষার জন্য ফোন কলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।"

আরও পড়ুন: লকডাউনে বেড়েছে মহিলাদের উপর হিংসা এবং নির্যাতন, দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের

জাতিসংঘ প্রধান বলেন, "মহিলা এবং মেয়েদের উপর হুমকির পরিমাণ বাড়তে থাকলে তাঁদের নিরাপত্তার জন্য ঘরে থাকাই বাঞ্চনীয়। এছাড়াও, মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসা বৃদ্ধির এক ভয়াবহ চিত্র সামনে এনে তা মোকাবিলার বিভিন্ন উপায়ের পরামর্শও দেন এবং সমস্ত সরকারকে সেই সুপারিশ অনুসরণ করার আহ্বানও জানান।

এক নজরে সব সুপারিশ:

* অনলাইন পরিষেবা এবং সুশীল সমাজের সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগ বাড়ানো
* অপরাধকারীদের বিচারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা
* অপরাধকারীদের সতর্ক করার পাশাপাশি মহিলাদের জন্য নিরাপদ উপায়ের পরিকল্পনা রাখা
* ওষুধ এবং মুদি দোকানে জরুরি সতর্কতা ব্যবস্থা রাখা
* আশ্রয়কেন্দ্রগুলিকে প্রয়োজনীয় পরিষেবা হিসাবে ঘোষণা করা

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

United Nations coronavirus
Advertisment