রবিবার গোয়ায় তাঁর নিজস্ব বাসভবনে প্রয়াত হলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিক্কর। গত এক বছর ধরেই অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। চিকিৎসাধীন ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মুম্বই ও দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
পারিক্কারের স্মৃতিতে সোমবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের রাজধানীতে অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাহকার্য সম্পন্ন হবে তাঁর। সোমবারই সকাল দশটায় বৈঠকে বসবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীগোষ্ঠী।
অসুস্থতার কারণে একাধিকবার পারিক্কারের পদ ছাড়া নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। তবু তিনি যতদিন গোয়ায় থাকবেন, মন্ত্রিত্বে রাখা হবে তাঁকেই, এমনটা জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
শনিবার জানা যায়, শরিক দল গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সভাপতি বিজয় সরদেশাইয়ের সঙ্গে দেখা করবে গোয়ার বিজেপি নেতৃত্ব। দলের পক্ষ থেকে লোবো জানান, "পারিক্কর জি আজ আছেন, কাল থাকবেন। আমরা প্রার্থনা করছি। কিন্তু আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা নেই। খুবই অসুস্থ উনি… যদি খুব খারাপ কিছু ঘটে যায়, বিজেপি থেকেই কেউ নতুন মুখ্যমন্ত্রী হবেন।"
শনিবারর রাজ্যপালের কাছে সরকার গড়ার দাবি জানিয়ে চিঠি দেওয়ার পর রবিবারই এক সাংবাদিক সম্মেলন করে গোয়া কংগ্রেস ফের একবার দাবি করে যে রাজ্যে সরকার গড়ার মতো বিধায়ক তাদের দলে রয়েছেন, এবং অভিযোগ করে যে রাজ্যপাল মৃদুলা সিনহা "একজন বিজেপি পদাধিকারীর" মতো আচরণ করছেন। দলের তরফে রাজ্যপালের কাছে এও দাবি করা হয় যে গোয়ার জনসাধারণকে মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিশদ জানানো উচিত।
আরও পড়ুন: গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়ে কংগ্রেস নেতার দলবদল?
অন্যদিকে রবিবার রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে বৈঠক করেন গোয়ার শীর্ষ বিজেপি নেতারা। বৈঠকের পরে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক সূত্র জানায়, বিধায়কদের জানানো হয়েছে যে, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগম্বর কামাত বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন, এবং তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। গোয়ায় বিজেপির জোট সঙ্গী গোয়া ফরোয়ার্ডের নেতা বিজয় সরদেশাইয়ের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক কামাতের।
কামাত নিজে অবশ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি জানান, "সকাল থেকে এই শুনে চলেছি। আজও আমার দিল্লিতে কাজ ছিল, তা করে এসেছি। বিজেপি হোক, কংগ্রেস হোক, কারোর সঙ্গে কথা বলি নি। কিন্তু আমি কংগ্রেসের সঙ্গেই আছি। গত মাসেও ঠিক এই জিনিস করেছে কেউ। ওই তরফ থেকে আসছে এই খবর, যার কোনো ভিত্তি নেই।"
Read more in English