Advertisment

যেখানে ভাঙা হয়েছে সেখানেই বানাতে হবে মন্দির, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ঘিরে বিতর্ক

গোয়াতেও বিভিন্ন মন্দির ধ্বংস করেছে পর্তুগিজরা। এমন অভিযোগ রয়েছে। সেই সব মন্দিরগুলো ফের বানাতে তিনি বাজেটে বরাদ্দ করেছেন বলেও সাওয়ান্ত জানিয়েছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
pramod_sawant

জ্ঞানবাপি মসজিদ বিতর্কে ঘি ঢাললেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। তিনি দাবি করেছেন, অতীতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মন্দিরগুলো পুনরায় নির্মাণ করে দিতে হবে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন দাবি করেছে, গোয়ায় জ্ঞানবাপি মসজিদের স্থানে আগে শিবমন্দির ছিল। সেই মন্দিরই ভেঙে সেখানে মসজিদ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে আদালতে মামলা পর্যন্ত চলছে। তার মধ্যেই সাওয়ান্ত এবার অতীতে ধ্বংস হওয়া সমস্ত মন্দির পুনর্নির্মাণের দাবি তুললেন। গোয়াতেও বিভিন্ন মন্দির ধ্বংস করেছে পর্তুগিজরা। এমন অভিযোগ রয়েছে। সেই সব মন্দিরগুলো ফের বানাতে তিনি বাজেটে বরাদ্দ করেছেন বলেও সাওয়ান্ত জানিয়েছেন।

Advertisment

এই ব্যাপারে সাওয়ান্ত বলেন, '৪৫০ বছরের পর্তুগিজ শাসনে, হিন্দু সংস্কৃতি ধ্বংস হয়েছিল। বহু মানুষ ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। আমরা সেই সব মন্দিরগুলো ফের গড়ে তুলতে যাচ্ছি। তাতে দোষটা কি? আমি বিশ্বাস করি, যেখানেই মন্দির ধ্বংস হয়েছে, তার প্রত্যেকটাই পুনর্নির্মাণ করা উচিত। গোয়ায় যেমন সমুদ্র সৈকত রয়েছে, তেমনই সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক পর্যটনের সুযোগও রয়েছে। গোয়ার প্রতিটি গ্রামেই দু'য়েকটি করে মন্দির আছে। আমাদের পর্যটনের গাইডদের এবার পর্যটকদের সৈকত থেকে মন্দিরমুখো করতে হবে।'

ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজ্য অভিন্ন নাগরিক বিধি (ইউসিসি) নিয়ে আলোচনা করেছে। সেই প্রসঙ্গে সাওয়ান্ত বলেন, ' গোয়ায় তো ইতিমধ্যেই এটা আছে। আমি গর্ব করে বলছি যে গোয়া তার স্বাধীনতার পর থেকে একটি অভিন্ন নাগরিক বিধি অনুসরণ করে আসছে। আমি আশা করব, অন্য সব রাজ্যেও অবশ্যই যেন ইউসিসি চালু করা হয়। গোয়ায় কীভাবে ইউসিসি মানা হয়, সেনিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা আমার কাছে জানতে চেয়েছেন। আমি তাঁদের বলেছি। ইউসিসি যদি গোয়ার সংখ্যালঘুদের সমস্যা তৈরি না-করে, তবে অন্য রাজ্যেই বা সমস্যা তৈরি করবে কীভাবে?'

আরও পড়ুন- কুতুব মিনার কি বিক্রমাদিত্যের তৈরি, জানতে খোঁড়াখুঁড়ির নির্দেশ, অভিযোগ অস্বীকার কেন্দ্রের

গোয়ার স্বাধীনতা ইস্যুতে কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছেন সাওয়ান্ত। তাঁর অভিযোগ, গোয়ার বিলম্বিত মুক্তির জন্য তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী। সাওয়ান্ত বলেন, '১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হয়েছিল। ১৯৬১ সালে গোয়া স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আমি জানতে চাই যে এই ১৪ বছর দেরি হওয়ার জন্য কে দায়ী? এনিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করা উচিত। গোয়ার মুক্তির জন্য গোটা দেশের মানুষ সংগ্রাম করেছিল। এজন্য সংগ্রামীরা পর্তুগিজদের গুলিও খেয়েছেন। এই সব বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করা উচিত।'

Read full story in English

Temple Pramod Sawant Goa
Advertisment