উৎসবের মরসুমে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে করোনার নয়া সাব ভ্যারিয়েন্ট। ইতিমধ্যেই দেশের তিনটি রাজ্যে মিলেছে আক্রান্তের হদিশ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সাব-ভেরিয়েন্ট জেএন.১-এর নতুন ২১টি কেসের মধ্যে ১৯টি গোয়ায় রিপোর্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি কেরল এবং মহারাষ্ট্রে একটি করে কেস রিপোর্ট করা হয়েছে।
এদিকে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে নীতি আয়োগ (স্বাস্থ্য) সদস্য ভি কে পল বলেছেন যে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। পল বলেন, করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৯১ থেকে ৯২ শতাংশ মানুষ ঘরে বসেই চিকিৎসাইয় সুস্থ হয়ে উঠছেন। এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব সুধাংশ পান্ত জানিয়েছেন, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও ৯২.৮ শতাংশ ক্ষেত্রে বাড়িতে চিকিৎসা করা হচ্ছে। এছাড়াও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনা ভাইরাসের জেএন.১-নিয়ে খুব বেশি আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
করোনার ক্রমবর্ধমান সংখ্যা বাড়তে থাকায় বুধবার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। বৈঠকের পরে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যে কোনও ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: < আমেরিকার অভিযোগে ভারতের অবস্থান বদল, খালিস্তানি ইস্যুতে ফের সুর চড়ালেন ট্রুডো >
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, নতুন করে দেশে করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছেন ৬১৪ জন। এর সঙ্গে অ্যাকটিভ কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৩১১।
এখন পর্যন্ত, গোয়া, কেরল এবং মহারাষ্ট্রে কোভিড-১৯ এর নয়া সাব ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে, গোয়াতে এখনও পর্যন্ত কোভিড সাব-ভেরিয়েন্ট JN.1-এর সর্বাধিক ১৯ টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে।
সারা দেশে কোভিড মামলার বৃদ্ধির মধ্যে, NITI আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ডাঃ ভি কে পল বুধবার বলেছেন আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। সতর্কতা প্রয়োজন। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার এবং কিছু রাজ্য সরকার করোনা নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশ জারি করেছিল। যাতে শিশু, গর্ভবতী মহিলা, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাস্কের ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
ডক্টর এন কে অরোরা, যিনি ICMR-এর কোভিড টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন এবং এখন ভারতের ন্যাশানাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (NTAGI) এর প্রধান, বলেছেন যে নয়া ভ্যারিয়েন্টে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও দরকার নেই৷ এটি একটি সাধারণ ভ্যারিয়েন্ট। এটা বিপজ্জনক নয়। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে করোনার এই নতুন রূপটি বিপজ্জনক নয় তবে সর্দি, কাশি এবং ভাইরাল সংক্রমণের ক্ষেত্রে আমরা যেভাবে সতর্কতা অবলম্বন করি তা মেনে চলতে হবে। সুস্থ থাকতে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, ভিড়ে মাস্ক পরার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।