গোধরা হত্যাকাণ্ডে আরও দু’জনের সাজা শোনাল আদালত। ২০০২ সালে গোধরা স্টেশনে সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফারুক ভানা এবং ইমরান ওরফে শেরু বাটিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাল বিশেষ আদালত। একইসঙ্গে আরও তিনজনকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই পাঁচজনকে ২০১৫-১৬ সালে গ্রেফতার করা হয়। বেকসুর খালাস হয়েছেন হুসেন সুলেমান মোহন, কাসাম ভামেদি ও ফারুক দান্তিয়া।
ফারুক ভানা এ ঘটনার অন্যতম মূল চক্রী বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ২০১৬ সালের মে মাসে গুজরাত গুণ্ডা দমন শাখার হাতে গ্রেফতার হয় সে। ২০০২ সালে গোধরা কাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিল ফারুক। গোধরা পুরসভার পোলান বাজার এলাকার কর্পোরেটর ছিল সে। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে ভানা রেলস্টেশনের কাছে আমন গেস্ট হাউসে বৈঠক করেছিল বলে অভিযোগ। তারা ট্রেনে আগুন লাগানোর ষড়যন্ত্র করছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
গত এক দশক ধরে নিজের পরিচয় লুকিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পরিজনদের সঙ্গে ফারুক দেখা করত বলে জানা গিয়েছে। পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে এসেই পাঁচমহল জেলায় একটি টোল প্লাজার কাছ থেকে গ্রেফতার হয় সে। অন্যদিকে, গোধরা কাণ্ডের ষড়যন্ত্রে জড়িত আরেক দোষী ইমরানও। ২০১৬ সালের মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও থেকে ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন, দেশের সংশোধনাগার নিয়ে এক সুর বিজয় মালিয়া ও মেহুল চোকসির
এর আগে ২০১১ সালের পয়লা মার্চ এ ঘটনায় ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে স্পেশাল সিট আদালত, যার মধ্যে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয় ও ২০ জনের যাবজ্জীবন সাজা শোনায় আদালত। একইসঙ্গে সেসময় ৬৩ জনকে বেকসুর খালাস করা হয়। গত বছরের অক্টোবরে গুজরাত হাইকোর্ট এ ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা থেকে ১১ জনকে রেহাই দেয়। অন্যদিকে ২০ জনের যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা বহাল রাখে।