দিল্লিতে ফের উঠল 'দেশ কে গদ্দারোকো - গোলি মারো সালে কো' স্লোগান। রাজধানীর মেট্রো রেল স্টেশনের মধ্যে শনিবার এই স্লোগান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। নিমিশে যা ভাইরাল হয়ে পড়ে সোশাল মিডিয়ায়। ঘটনার পরই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে দিল্লি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। স্লোগানধারীদের মেট্রো পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ঘটনা শনিবার বেলা ১০.৫২-র। দিল্লির রাজীব চক মেট্রো স্টেশন তখন ভিড়ে ঠাসা। আচমকাইই একদল গেরুয়া পোশাকধারী 'গোলি মারো' স্লোগান দিতে শুরু করে। দিল্লি মেট্রো রেলওয়ে মেট্রো কর্পোরেশনের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'ভাইরাল ভিডিও ক্লিপটি রাজীব চক মেট্রো স্টেশনের। বেলা ১০.৫০-ওই ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকজন যাত্রী আপত্তিকর স্লোগান দিচ্ছিলেন। কর্তৃপক্ষ ওই যাত্রীদের মেট্রো পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।'
আরও পড়ুন: দিল্লিতে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বাধ্য জখম যুবকের মৃত্যু
২০১২ সালে দিল্লি মেট্রো আইন অনুশারে কোনও ধরনের বিক্ষোভ প্রদর্শন বা উপদ্রব বেআইনি। আইন লঙ্ঘনকারীদের মেট্রো এলাকা থেকে বার করে দেওয়া হবে। ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে যে, কয়েকজন গেরুয়া পোশাকধারী রাজব চক মেট্রোর মধ্যে প্রবেশ করে 'গোলি মারো' স্লোগান দিচ্ছেন। দিল্লির 'ব্লু' ও 'ইয়ালো' মেট্রোর সংযোগকারী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হল রাজীব চক।
গত ডিসেম্বরে কনট প্লেসে সিএএ-এর পক্ষে দিল্লিতে বিজেপির সভায় 'গোলি মারো' স্লোগান তোলেন গেরুয়া নেতা কপিল মিশ্র, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুররা। যা ঘিরে বিতর্ক চরমে। এরপর চলতি মাসে দিল্লি বিধানসভা ভোটে হেরেছে পদ্ম বাহিনী। হারের অন্যতম কারণ হিসাবে দায়ী করা হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বের 'বিদ্বেষপূর্ণ' এইসব স্লোগানকে। অমিত শাহ স্বয়ং তা স্বীকার করেছেন। সম্প্রতি দিল্লি হিংসার পিছনে এই ধরনের স্লোগান উস্কানি হিসাবে কাজ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। নেতাদের উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য অবশ্য কোনও এফআইআর দায়ের করেনি দিল্লি পুলিশ। যা নিয়ে আদালতে ভর্ৎসনা করা হয় পুলিশকে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন