গতকালই নয়াদিল্লিতে প্রগতি ময়দান ইন্টিগ্রেটেড ট্রানজিট করিডোর প্রকল্পের মুল টানেল ও পাঁচটি আন্ডারপাস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় মোদী বলেন, ‘ভাল কাজ নিয়েও রাজনীতি, দেশের দুর্ভাগ্য’। পাশাপাশি তিনি বলেন ‘ভাল কাজের সব সময় প্রশংসা করা উচিৎ, কেবল রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য ভাল কাজ নিয়ে রাজনীতি দেশের দুর্ভাগ্য’। প্রগতি ময়দান ইন্টিগ্রেটেড ট্রানজিট করিডোর প্রকল্পটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ৯২০ কোটি টাকা। পিএমও-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে , ‘করিডোরটির লক্ষ্য হল প্রগতি ময়দানে তৈরি হওয়া নতুন বিশ্বমানের প্রদর্শনী এবং কনভেনশন সেন্টারে সমস্যামুক্ত এবং মসৃণ প্রবেশাধিকার প্রদান করা যাতে এই স্থানে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানগুলিতে প্রদর্শক ও দর্শনার্থীরা সহজেই অংশগ্রহণ করতে পারেন’।
৯২০ কোটি টাকার এই প্রজেক্ট ঘিরে দিল্লির সড়ক পথে পরিবহন আরও উন্নত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনায় মানুষের জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে সুবিধা আগের চেয়ে অনেকটাই বেশি হবে। তিনি বলেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা সহজসাধ্য ছিলনা। দিল্লির ব্যস্ততম এবং সবচেয়ে বেশি যানজটপূর্ণ রুটগুলির মধ্যে এটি একটি।প্রতিদিন লক্ষাধিক যানবাহন এই রুটে চলাচল করে। এই প্রকল্পটি তৈরি করতে বেশ কিছু ঝড়ঝঞ্জা আসে সেগুলিকে অতিক্রম করে এই কাজ সফল ভাবে শেষ করা হয়। তিনি বলেন, ‘নতুন প্রকল্পগুলো প্রায়ই সমালোচনার সম্মুখীন হয়’।

আরও পড়ুন: [কলকাতায় ফের করোনা-জুজু, পুজোর আনন্দ ভেস্তে দেবে ভাইরাস?]
মোদী আরও অভিযোগ করেন ‘আদালতের দ্বারস্থ হয়ে অনেকেই ভাল কাজকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে এটা নতুন ভারত। সমস্যার সমাধান করে অঙ্গীকারগুলি পূরণ করার পথে অগ্রসর হয়’। তিনি আরও অভিযোগ করেন কংগ্রেস জমানায় এই প্রকল্পের প্রস্তাব হয় কিন্তু তা কাগজ কলমেই রয়ে গিয়েছে তার কোন বাস্তবায়ন হয়নি। টানেলের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, টানলের শিল্পকর্ম সৌন্দর্যের প্রশংসা করে মোদী বলেন, টানেলটিকে একটি আর্ট গ্যালারি হিসাবে সকলের সামনে তুলে ধরা উচিত”। বিদেশ মন্ত্রকের কর্তাব্যক্তিদের তিনি বিদেশী রাষ্ট্রদূত এবং কূটনীতিকদের এই টানেলের শিল্পকর্ম ঘুরিয়ে দেখার পরামর্শও দেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি সহ বিশিষ্ট অতিথি বর্গ।