Teachers Day Google Doodle: প্রত্যেক দিনই ডুডল কিছু না কিছুতে সেজে ওঠে। তবে আজকেরটা সবার কাছে একটু আলাদা । আজ শিক্ষক দিবস।ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিন। হ্যাঁ, দেশের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ও দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ। শিক্ষাবিদ ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ। দক্ষ কূটনীতিক, জ্ঞানী পণ্ডিত ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ। এই এত পরিচয়ের পরেও অসম্পূর্ণ থেকে যায় তাঁর পরিচয়। এই সব পরিচয় বাদ দিয়েও শেষ পর্যন্ত যে কারণে মনে রাখা যায় তাঁকে, একজন শিক্ষক হিসেবেও।
সারাবছর ইতিহাস ভলো না লাগলেও, এই দিনের ইতিহাসের জন্য একটা লাভ কিন্তু রয়েছে। কারণ এই দিন স্কুলে পড়াশুনা পাঠ চুকে যায়, টিচারদের বকুনি থেকে খানিক নিস্তার, এছাড়া অল্প সময়ের জন্য নিচু ক্লাস কে পড়িয়ে নিজেকে শিক্ষিক বা শিক্ষিকা ভাবার আনন্দ পাওয়া।
রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিনটা শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করার শুরুটা কী ভাবে? একদল ছাত্র ছাত্রী মেতে উঠেছিল তাঁদের শিক্ষকের জন্মদিন উদযাপনে। শিক্ষক নিজেই আর্জি জানালেন, “শুধু আমার জন্মদিন হিসেবে উদযাপন না করে দিনটা যদি সব শিক্ষকের দিন হিসেবে পালন কর, খুব খুশি হব”। ব্যাস! শিক্ষকদের মনে রেখে একটা দিন উৎসর্গ করা হল তাঁদের জন্য। সেটা ১৯৬৭ সাল।
নিজের জন্মদিন নিয়ে পণ্ডিতসুলভ ঔদাসীন্য ছিল রাধাকৃষ্ণণের। অত্যন্ত প্রিয় কিছু ছাত্র ছাত্রী তাঁর জন্ম দিনটিকে মনে রাখার মত করে তুলতে চাইলে তিনি আবদার করলেন, শুধু তাঁর জন্য নয়, দিনটা উদযাপন হোক সমস্ত শিক্ষককে মনে রেখে।
বয়স তিরিশের কোঠায় যাওয়ার আগেই সুযোগ এল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার। ১৯৩১ থেকে ১৯৩৬ এই সময়ের মধ্যে তিনি অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। ১৯৩৯ এ বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। ১৯৫২ তে দেশের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং ১৯৬২ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতির আসনে তাঁকে পেয়েছে দেশবাসী।