Gopan Swami Death Chamber Case: কেরলের 'আধ্যাত্মিক গুরু' গোপন স্বামীর সন্দেহজনক মৃত্যু! পরিবারের দাবি ঘিরে চরম চাঞ্চল্য। পুলিশ গিয়ে তাঁর মৃতদেহ একটি কংক্রিটের ঘর থেকে উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আঘাতের কোন চিহ্ন না মিললেও মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। গোটা ঘটনায় পুলিশ ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাঁড়া করে তদন্ত শুরু করেছে।
কেরলে 'আধ্যাত্মিক গুরু'র সমাধি নেওয়ার ঘটনায় রাজ্য জুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ ৬৯ বছর বয়সী ওই পুরোহিতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পরিবারের দাবি তিনি সমাধি নেন। যদিও সেই তত্ত্ব খারিজ করে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খাঁড়া করেছে পুলিশ। তার ভিত্তিতে তদন্তও শুরু হয়েছে।
৬৯ বছর বয়সী গোপন স্বামীর পরিবার দাবি করেছিল যে তিনি "সমাধি" নিয়েছেন। তবে, গত শুক্রবার স্থানীয়রা তার "সমাধি" নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ বিষয়ে পরিবার জানায় যে স্বামীজি বৃহস্পতিবার ধ্যান করে সমাধি লাভ করেছেন কিন্তু স্থানীয়দের কাছে বিষয়টি সন্দেহজনক বলে মনে হওয়ায় পুলিশে অভিযোগ করেন। এরপর শনিবার পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। গোপন স্বামীর মৃতদেহ উদ্ধারে গেলে পুলিশকে বাধা দেয় তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের তরফে দাবি করা হয় এটি "ধর্মীয় অধিকারের লঙ্ঘন"। তবে বুধবার কেরল হাইকোর্ট পুলিশকে মৃতদেহ উদ্ধারের অনুমতি দিয়েছে। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের তদন্তে জানা গেছে যে স্বামীর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
গোপন স্বামীর ছেলে পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে বলেন, "আমার বাবা শিব মন্দিরে সমাধি গ্রহণ করেন। এটা মহা-সমাধি, আমাদের অপমান করা হয়েছে। আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।” যদিও বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের পর স্বামীর মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবার জানিয়েছে যে শুক্রবার একই স্থানে পূর্ণ রীতি মেনে মহা-সমাধি দেওয়া হবে।