গোরখপুর হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত কাফিল খান জামিন পেলেন। এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি যশোবন্ত রাণা আজ এই রায় দিয়েছেন। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর থেকে গোরখপুর জেলে বন্দি ছিলেন এই শিশুরোগবিশেষজ্ঞ। তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অনিচ্ছাকৃত হত্যার চেষ্টা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
সম্প্রতি জেল থেকেই একটি চিঠি লিখেছিলেন ডাক্তার কাফিল। সে চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেছিলেন প্রশাসনিক ব্যর্থতা ঢাকার উদ্দেশ্যে তাঁকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে। কাফিল খানের স্ত্রী সম্প্রতি সেই চিঠি সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেন। চিঠিতে ডাক্তার খান লিখেছিলেন, ২০১৭-র ১০ অগাস্ট, যে দিন শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটছিল, সেদিন তিনি ছুটিতে ছিলেন। ‘‘সে রাতে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন চিকিৎসক হিসাবে, একজন পিতা হিসাবে, একজন দায়িত্বসম্পন্ন নাগরিক হিসাবে যা যা কর্তব্য তা-ই করেছিলাম... লিকুইড অক্সিজেনের অভাবে মুমূর্ষু প্রত্যেককে আমি বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম’’।
আরও পড়ুন, কিশোরী ধর্ষণ: যাবজ্জীবন সাজা ধর্মগুরু আসারাম বাপুর
কাফিল খানের বক্তব্য আসল দোষী হলেন, ‘‘গোরখপুরের জেলাশাসক, শিক্ষাস্বাস্থ্য অধিকর্তা, শিক্ষাস্বাস্থ্য বিভাগের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি, যাঁরা পুষ্পা সেলসের ৬৮ লক্ষ টাকা বকেয়ার কথা জানিয়ে ১৪ বার জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেননি। এটা সম্পূর্ণ উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক ব্যর্থতা।’’
কাফিল খানের অভিযোগ, তাঁর পরিবারের উপর অত্যাচারের জন্যই তিনি আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন। এর আগে বি আর ডি মেডিক্যাল কলেজে ৭০ জন শিশুমৃত্যুর জেরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কাফিল খানকে হাসপাতালের শিশুবিভাগের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুমৃত্যুর ঘটনায় তাদের দায় অস্বীকার করেছে।