সরকারের যে সব সম্পত্তির নগদীকরণ করা সম্ভব তার দ্বিতীয় একটি তালিকা বানাবে মন্ত্রীদের এক কমিটি। এই তালিকা সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে গেইলের পাইপলাইন, বিএসএনএল ও এমটিএনএলের মোবাইল টাওয়ার, সরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম সমূহ।
নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত, অর্থসচিব, বিনিয়োগ ও সরকারি সম্পত্তি দেখভাল দফতরের সচিব নিয়ে গঠিত এই কমিটি ইতিমধ্যেই তিন-চার দফা বৈঠক সেরে ফেলেছে।
ওই বৈঠকে গেইলের পাইপলাইন এবং বিএসএনএলের টাওয়ার বেসরকারি হতে তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ভবনাচিন্তা চলছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিশাল এটিএম নেটওয়ার্ক নিয়েও।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন “সরকারি সংস্থাগুলিতে বড় বিনিয়োগ আনার জন্য এটাই একমাত্র উপায়”।
প্রথম রাউন্ডে মন্ত্রীদের কমিটি ১৯টি সম্পত্তি মুদ্রান্তরের জন্য অনুমোদন করে এবং সরকারের কাছে সে তালিকা পেশ করে। এর মধ্যে রয়েছে ১২টি স্পোর্টস স্টেডিয়াম। এর মধ্যে তিনটি রেলের, একটি দিল্লিতে ও দুটি বিশাখাপত্তনমে। পাঁচটি স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (দিল্লিতে), দুটি ওএনজিসি (একটি আমেদাবাদ ও একটি ভদোদরায়), একটি মুম্বইয়ের বিপিসিএল এবং একটি বিশাখাপত্তনমের আরআইএনএল।
এছাড়াও প্রথম তালিকায় রয়েছে দিল্লিতে এনটিপিসির বদরপুর থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, দিল্লিতে অবস্থিত আইটিডিসি-র হোটেল অশোকা, এবং পার্বত্য রেলের চারটি সম্পত্তি, দার্জিলিং, মাথেরান, নীলগিরি এবং কালকা-শিমলা। এছাড়া ওই তালিকায় রয়েছে সারা ভারতে ছড়িয়ে থাকা কেন্দ্রীয় সরকারের ১৮টি হলিডে হোম, যেগুলি বর্তমানে ডিরেক্টরেট এফ এসটেটসের আওতাধীন।
এক আধিকারিক বলেছেন, “মন্দা কাটাতে আমাদের প্রয়োজন বেসরকারি লগ্নি। যদি সরকারি সংস্থা এ কাজ শুরু করে দিতে পারে, সেক্ষেত্রে বেসরকারি ক্ষেত্রগুলি আস্থা পাবে।”
বিএসএনএল কয়েকটি মোবাইল টাওয়ার লিজে দিলেও, এ প্রক্রিয়ার গতি অতীব ধীর। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিএসএনএলের টাওয়ারের সংখ্যা ৬৭,২৭৯। এর মধ্যে অন্য টেলিকম সংস্থাকে লিজ দেওয়া হয়েছে মাত্র ১৪১৫টি। এ থেকে আয় হয়েছে ৩৩৬ কোটি টাকা।
সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় তিনটি বিমানবন্দর পিপিপি মডেলে চালানোর জন্য আদানি এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে চুক্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ৫০ বছর আমেদাবাদ, লখনউ ও ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরের অপারেশন, ম্যানেজমেন্ট ও উন্নয়নের দায়িত্বে থাকবে আদানিরা।
Read the Full Story in English