ই-সিগারেটের ক্ষেত্রে শারীরিক ঝুঁকি থেকে যায়। সেই কারণেই তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে দাবি সরকারে। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট বুধবারই এই সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সে অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে এখন থেকে ই-সিগারেট তৈরি, মজুত, বিক্রি, আমদানি করা যাবে না।
ই-সিগারেটের ক্ষেত্রে শারীরিক ঝুঁকি থেকে যায়। সেই কারণেই তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে দাবি সরকারে। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট বুধবারই এই সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সে অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে এখন থেকে ই-সিগারেট তৈরি, মজুত, বিক্রি, আমদানি করা যাবে না।
ই-সিগারেট নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট বুধবারই এই সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সে অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে এখন থেকে ই-সিগারেট তৈরি, মজুত, বিক্রি, আমদানি করা যাবে না। ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ই-সিগারেটের ক্ষেত্রে শারীরিক ঝুঁকি থেকে যায়। সেই কারণেই তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে দাবি সরকারে। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে সীতারমন বলেন, 'আপাতত অর্ডিন্যান্স আকারে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ ঘোষণা হলেও পরের অধিবেশনেই তা আইনে পরিণত হবে।নতুন প্রজন্মের কাছে ই-সিগারেট স্টাইল স্টেটমেন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা তাদের শরীরের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। ই-সিগারেট ভারতে তৈরি হয় না।'
Advertisment
এই পদক্ষেপের পিছনে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগ। পিএমও-এর আর্জিতেই মন্ত্রীগোষ্ঠী ই-সিগারেট অর্ডিন্যান্স খসড়াটি খতিয়ে দেখেন। অর্ডিন্যান্সে ই-সিগারেট ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির বিধান রয়েছে। প্রথমবার নিয়মভঙ্গকারীদের এক বছর পর্যন্ত জেল ও এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত শাস্তির উল্লেখ আছে। একাধিকবার নিয়ম ভাঙলে শাস্তির মেয়াদ বাড়বে। এক্ষেত্রে, কারাবাস বেড়ে হবে তিন বছর ও আর্থিক জরিমানার পরিমান হবে ৫ লক্ষ টাকা।
দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম ১০০ দিনের কাজের আগ্রাধিকারের তালিকায় ছিল ই-সিগারেট নিষিদ্ধ ঘোষণার বিষয়টি। কেন্দ্রীয় ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোলের তরফে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রত্যেকটি রাজ্য়ের ড্রাগ কন্ট্রোলারকে আর্জি জানানো হয় ইৃসিগারেট নিষিদ্ধ করার জন্য। ই-সিগারেটের বিক্রি, অনলাইন বিক্রি, ই-সিগারেট তৈরি, সরবারহ, ব্যবসা আমদানি কঠোর হাতে বন্ধ হওয়া প্রযোজন বলে জানায় তারা।
Advertisment
যদিও, দিল্লি হাইকোর্ট নিকোটিন যুক্ত ই-সিগারেট এবং ই-হুকার বিক্রি বন্ধে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ দেয়। বলা হয়, এগুলি ড্রাগ নয়।। তাই এগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার কোনও এক্তিয়ার কেন্দ্রের নেই। তবে, ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব, কেরালা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, তামিলনা়ড়ু, ঝাড়খণ্ড, মিজোরাম, মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশ ই-সিগারেট ও ই-হুকা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
ব্য়বসায়ী ও ই-সিগারেট আমদানী ব্যবসার সঙ্গে যুক্তরা কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে খুশি নয়। বম্বে ও দিল্লি হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও মোদী সরকার কীভাবে এই ই-সিগারেটকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
গত সপ্তাহে, নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি বাষ্প-সংক্রান্ত অসুস্থতা ও মৃত্যুর জন্য দায়ী স্বাদযুক্ত ই-সিগারেট নিষিদ্ধ ঘোষণার পক্ষে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তাতে সহমত জানান। তারপরই ভারত সরকার এই ঘোষণা করল।