ফরেন পোর্টফোলিও ইনভেস্টরদের (এফপিআই) নিয়ে আশা ছাড়ছেন না অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তাঁদের বক্তব্য শুনতে চান তিনি, বলেছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীর দাবি, সরকার বিদেশি বিনিয়োগের বিরুদ্ধে, এমন ভাবা অনুচিত হবে।
সানডে এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সীতারমণ বলেছেন, "যেসব এফপিআই নিজেদের ট্রাস্ট হিসেবে নথিভুক্ত করেছে, তাদের উপর এর প্রভাব পড়বে না।এই প্রভাবের কথা যখন আমাদের নজরে আনা হয়েছিল, এবং অনেকেই যখন বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন - তখন একটা উপায় ছিল, একে কোম্পানি হিসেবে নথিভুক্ত করানো। যদি আপনাদের সমস্যা হয়, আমার সঙ্গে কথা বলুন। আমি কোনও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না, কিন্তু আমি ওঁদের কথা শুনব। আমাকে আগে শুনতে দিন।"
আরও পড়ুন, প্রয়াত প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা জয়পাল রেড্ডি
২ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা আয়ের জন্য সারচার্জ নির্ধারিত হয়েছে ৩ শতাংশ, এবং ৫ কোটির ঊর্ধ্বে আয়ের সারচার্জ নির্ধারিত হয়েছে ৭ শতাংশ। এর ফলে অ্যাসোসিয়েশন বা ট্রাস্ট এবং কোম্পানির ক্ষেত্রে বিবিধ কর আরোপিত হচ্ছে।
বাজেটের বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানানোর মত বেশ কিছু পদক্ষেপ থাকলেও, সারচার্জ সম্পর্কিত সিদ্ধান্তের ফলে বিদেশিবিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে, এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, "যদি আমি এফপিআইয়ের উপর আঘাত করতে চাইতাম, তাহলে কি কোম্পানি হিসেবে যারা নথিভুক্ত তাদের এর আওতায় আনতাম! আমরা বিনিয়োগের বিরুদ্ধে বা বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আমাদের কিছু এসে যায়না, এরকম ব্যাখ্যা করা ভুল হবে। আদৌ তা নয়।"
আরও পড়ুন, ‘কলা কাণ্ডের’ জেরে এবার শো-কজ ম্যারিয়ট হোটেলকে
অর্থমন্ত্রী বলেন, বেশ কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ধরনের উন্নয়নের দিকে তাকানোর আগে সাবধান হতে হবে। এ ব্যাপারে তাঁর ব্যাখ্যা, আমি যদি সু অভিপ্রায় নিয়েও কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ে হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দিই, তাহলেও আমাকে সে ব্যাপারে বিভিন্ন দিক মাথায় রাখতে হবে।
কিন্তু অর্থনীতিতে ধাক্কা দেওয়ার জন্য সরকারকে বহু ব্যাপারে কাজ করতে হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের উৎসাহদান। এর জন্য এমন কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়েছে যাতে বিশেষ করে গ্রামীণ মানুষের হাতে আরও বেশি পরিমাণ অর্থ থাকে।
Read the Full Story in English