Farm Law Repeal: মোদি সরকারের তিন কৃষি আইন ফেরানোর কোনও উদ্দেশ্য নেই। রবিবার নাগপুরের এক অনুষ্ঠানে এভাবেই আশ্বাস দিলেন কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। শনিবার কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, ‘কৃষি আইন ফেরানোর গভীর চক্রান্ত করছে কেন্দ্র।‘ সেই অভিযোগ নস্যাত করে কৃষি মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের সম্মানে কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছেন। সরকারের সেই আইন ফেরানোর কোনও উদ্দেশ্য নেই। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কংগ্রেস মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।‘
এদিকে, পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের আগে নাটকীয় পটপরিবর্তন। ২২টি কৃষক সংগঠন এক ছাতার তলায় এসে নয়া রাজনৈতিক দল তৈরি করল। শনিবার তারা ঘোষণা করল, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ১১৭টি আসনেই লড়বে এই দল।
বলবীর সিং রাজেওয়াল হবেন এই দলের মুখ্যমন্ত্রী মুখ। সংযুক্ত সমাজ মোর্চা নামে এই রাজনৈতিক দলের পথ চলা শুরু হল। সাংবাদিক সম্মেলনে রাজেওয়াল এবং অন্য কৃষক নেতা যেমন হরমিত সিং কাদিয়ান এবং কুলবন্ত সিং সান্ধু বলেছেন, আরও তিনটি বা তার বেশি কৃষক সংগঠন এই রাজনৈতিক দলে জুড়বে।
কাদিয়ান বলেছেন, এই মূহূর্তে রাজ্যের মানুষের দাবি হল কৃষকদের দল। কৃষক আন্দোলনে আমরা জয়ী হয়েছি। এবার রাজনৈতিক ময়দানেও লড়ব। যদিও আম আদমি পার্টির সঙ্গে তাঁরা জোট বাঁধবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট করেননি কৃষক নেতারা। তবে সূত্রের খবর, কেজরিওয়ালের দলের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা চলছে।
কয়েকদিন আগে দীর্ঘ একবছর পর শেষ হয়েছে কৃষক আন্দোলন। তিনটি কৃষি আইন রাষ্ট্রপতি বাতিল করার আদেশনামায় সই করার পর আন্দোলনে ইতি টেনেছেন কৃষকরা। কিন্তু এই ধারাকে বজায় রাখতে চাইছেন কৃষক নেতারা। তবে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চাকে সম্পূর্ণ রাজনীতি থেকে আলাদা রাখছেন তাঁরা। একটি বিবৃতিতে কৃষক নেতারা জানিয়েছেন, কিষাণ মোর্চার ৯ সদস্যের কমিটি জানিয়েছে, মোর্চার ৩২টি সহযোগী সংগঠন নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্তে সহমত নয়।
তবে রাজনীতিতে পা না রাখলেও রাজনীতির বাইরেও থাকছেন না কিষাণ মোর্চা। দেশজুড়ে ৪০০টি কৃষক সংগঠন এই মোর্চায় রয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, মোর্চা না ভোট বয়কটের ডাক দেবে না নির্বাচনে প্রত্যক্ষভাবে লড়বে। আগামী বছর ১৫ জানুয়ারি ফের বৈঠকে বসে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে মোর্চা।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, কৃষক সংগঠনগুলি রাজনৈতিক দল তৈরি করার ফলে পাঞ্জাবে এখন ভোটের ময়দানে পঞ্চমুখী লড়াই। বিজেপি-পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস, অকালি দল-বসপা, আপ, সংযুক্ত সমাজ মোর্চা এবং শাসকদল কংগ্রেস।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন