'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব'-এর অঙ্গ হিসেবে বিশেষ বন্দি মুক্তির পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। গত তিন বছরের বেশি সময় যে বন্দিরা কারাগারে রয়েছে। যারা কারাগারে ধারাবাহিক ভালো আচরণ করছে। এমন বন্দিরা এই বিশেষ মুক্তির সুযোগ পাবে। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের কারাগারগুলোয় ৪.০৩ লক্ষ বন্দি আছে। সেই জায়গায় ৪.৭৮ লক্ষ বন্দিকে রাখা হয়েছে।
অর্থাৎ, দেশের কারাগারগুলোয় বন্দির সংখ্যা ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি। তার মধ্যে রয়েছে বহু মহিলা এবং তৃতীয় লিঙ্গের বন্দিও। শুধুমাত্র মহিলা বন্দির সংখ্যাই একলক্ষের কাছাকাছি। মুক্তির ক্ষেত্রে তাদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। বিশেষ করে যাদের বয়স ৫০ বা ততোধিক, তারা আগে মুক্তির সুযোগ পাবে।
আরও পড়ুন- লোহার রড নিয়ে মমতার বাড়িতে ঢোকে হাফিজুল, নেপথ্যে কি নাশকতার উদ্দেশ্য?
পুরুষ বন্দিরাও মুক্তির সুযোগ পাবে। বিশেষ করে যারা অর্ধেকের বেশি সময় সাজা কেটে ফেলেছে। বয়স ৬০ পেরিয়ে গেছে। অথবা, শারীরিক প্রতিবন্ধী, এমন পুরুষ বন্দিরাই মুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। যে দরিদ্র বা অসহায় বন্দিদের সাজার মেয়াদ পূরণ হয়েছে। কিন্তু, জরিমানা দিতে না-পারায় জেলে থাকতে হচ্ছে, তারাও মুক্তি পাবে।
তবে যারা মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ধর্ষণ, সন্ত্রাসের জন্য সাজাপ্রাপ্ত, পণপ্রথার কারণে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে অথবা হাওয়ালার মত অর্থপাচারের মামলায় দোষী সাব্যস্ত- সেই বন্দিরা এই বিশেষ মুক্তির সুযোগ পাবে না। একথা স্পষ্ট করে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়েছে, সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে যে বন্দিরা যোগ্যতার শর্ত পূরণ করবে, তাদেরই দেওয়া হবে মুক্তি। তিন ধাপে মুক্তি দেওয়া হবে বন্দিদের। প্রথম ধাপের বন্দিরা মুক্তি পাবে চলতি বছরের ১৫ আগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের দিন। দ্বিতীয় ধাপে বন্দিরা মুক্তি পাবে আগামী বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন। অর্থাৎ ২৬ জানুয়ারি। আর, তৃতীয় ধাপে বন্দিরা মুক্তি পাবে আগামী বছর স্বাধীনতা দিবসের দিন। ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়ে গিয়েছে বলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে।
Read full story in English