পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রস্তুতি

“মন্ত্রকের এক অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে, ওই কমিটি ড্রোন ও বিমানের মাধ্যমে কীটনাশক স্প্রে করার জন্য পণ্য ও পরিষেবা সংগ্রহের কাজ করছে।” 

“মন্ত্রকের এক অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে, ওই কমিটি ড্রোন ও বিমানের মাধ্যমে কীটনাশক স্প্রে করার জন্য পণ্য ও পরিষেবা সংগ্রহের কাজ করছে।” 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Locust in India

কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেছেন, সরকার পরিস্থিতির সঙ্গে আপৎকালীন ভিত্তিতে মোকাবিলা করছে

চার রাজ্যের ১৩ জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে পঙ্গপালের দঙ্গল। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, তারা এই ফসলখেকো কীট নিয়ন্ত্রণে আকাশ থেকে কীটনাশক স্প্রে করবে।

Advertisment

বৃহস্পতিবার মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়, “মন্ত্রকের এক অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে, ওই কমিটি ড্রোন ও বিমানের মাধ্যমে কীটনাশক স্প্রে করার জন্য পণ্য ও পরিষেবা সংগ্রহের কাজ করছে।”

ভারতে ফের পঙ্গপালের হানা, মনে করাচ্ছে আতঙ্কের ইতিহাস

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “লম্বা গাছ এবং পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণে যেসব জায়গায় যাওয়া সম্ভব নয়, সে সবা জায়গাতে ড্রোন ব্যবহার করে কীটনাশক স্প্রে করা হবে, একই সঙ্গে আকাশ থেকে স্প্রে করার জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে।”

Advertisment

ইতিমধ্যে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বৃহস্পতিবার নিজের মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণের কাজকর্ম পর্যালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকার পরিস্থিতির সঙ্গে আপৎকালীন ভিত্তিতে মোকাবিলা করছে। তিনি একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলিকে প্রয়োজনে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।

কৃষিমন্ত্রকের মতে বৃহস্পতিবার পঙ্গপালের ঝাঁক রাজস্থানের বারমের, যোধপুর, নাগৌর, বিকানির, সুরাটগড় ও দৌসা, এই ৬টি জেলায় এবং মধ্যপ্রদেশের রেওয়ার, মোরেনা, বেতুল ও খান্ডোয়া- এই চার জেলায়, মহারাষ্ট্রের নাগপুর ও অমরাবতী- এই দুই জেলায় এবং উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি জেলায় দেখা গিয়েছে।

মন্ত্রক জানিয়েছে, “আজ ইন্দো-পাক সীমান্ত এলাকায় কোনও নতুন পঙ্গপালের ঝাঁক দেখা যায়নি, অন্যদিকে ২৬ মে-তে রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগর জেলায় একটি পঙ্গপালের ঝাঁক প্রবেশ করেছে, যাদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।”

পঙ্গপালের দঙ্গল শহরাঞ্চলে কেন, এরা ফসলের কতটা ক্ষতি করতে পারে?

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে রাজস্থান, পাঞ্জাব, গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশের ৩৩৪টি জায়গায় ৫০,৪৬৮ হেক্টর জমিতে নিয়ন্ত্রণ সম্পন্ন হয়েছে।

বলা হয়েছে, “কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রেখে চলছে এবং অ্যাডভাইজরিও জারি করা হয়েছে। পরবর্তী ১৫ দিনে ব্রিটেন থেকে ১৫টি স্প্রেয়ার এসে পৌঁছচ্ছে। আরও এক দেড় মাসের মধ্যে আরও ৪৫টি স্প্রেয়ার সংগ্রহ করা হবে।”

বেশ কিছু রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে, যার মধ্যে উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিও রয়েছে, সম্ভাব্য পঙ্গপাল হানা বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

তবে পঙ্গপালের ঝাঁক এখনই দিল্লিতে উপদ্রব করার আশঙ্কা নেই।