Advertisment

মোদির স্বপ্নের সেন্ট্রাল ভিস্তা, নির্মাণ খরচ এখনও পর্যন্ত ১২ হাজার কোটি: কেন্দ্র

Central Vista Project: সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সেন্ট্রাল ভিস্তার ভবিষ্যৎ এবং অর্থ বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন করেন কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Central Vista, Parliament, Narendra Modi

নয়াদিল্লির বুকে গড়ে ওঠা এই প্রকল্প ঘিরে বিরোধীদের বিস্তর অভিযোগ। ফাইল ছবি

Central Vista Project: নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ১২ হাজার কোটি খরচ হয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় আবাসন মন্ত্রক সংসদকে এই তথ্য দিয়েছে। মূল ভবনের নির্মাণকাজ ৩৫% সম্পন্ন হয়েছে। আগামি বছর অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে নির্মাণ। এখনও পর্যন্ত এই ভবন তৈরিতে বরাদ্দ প্রায় হাজার কোটির মধ্যে ৩৭১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।  এই তথ্যই সংসদকে দিয়েছে মন্ত্রক।

Advertisment

জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লি শহরের সঙ্গে মূল ভবনকে জুড়ছে যে রাস্তা, সেই সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভেনিউয়ের কাজ ৬০% সম্পন্ন। চলতি মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে সেই কাজ। এখনও পর্যন্ত বরাদ্দ ৬০০ কোটির মধ্যে প্রায় ২০০ কোটি সেই রাস্তা তৈরিতে খরচ হয়েছে।

এদিন সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সেন্ট্রাল ভিস্তার ভবিষ্যৎ এবং অর্থ বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন করেন কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারি। সেই প্রশ্নের জবাবেই এই তথ্য তুলে ধরেন আবাসন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কৌশল কিশোর।  

এদিকে, আইনি জট কাটিয়েই এগিয়ে চলেছে এই প্রকল্প। সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প নির্মাণে স্থগিতাদেশের আবেদন চলতি বছর খারিজ করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। এই প্রকল্পের জাতীয় গুরুত্ব অপরসীম। তাই সেন্ট্রাল ভিস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ করা যাবে না বলে নির্দেশে জানিয়েছিল আদালত। একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, এই আবদনের পিছনে স্বার্থ জড়িত। এই জন্য আবেদনকারীদের ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।

কোভিড আবহে সেন্ট্রাল ভিস্তার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া একেবারেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। অবিলম্বে প্রকল্পের নির্মাণবন্ধে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারির জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন আনিয়া মালহোত্র এবং সোহেল হাশমি। সেই আবেদনই খারিজ করেছে আদালত।

বিচারপতি ডিএন প্যাটেল এবং জ্যোতি সিংয়ের বেঞ্চ ১৭ মে এই মামলার শুনানি শেষ করে। সেদিন বলা হয়েছিল ৩১ মে ঘোষণা হবে রায়। নির্দেশে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, দেশবাসীর কাছে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের গুরুত্ব রয়েছে। তাই এর নির্মাণ কাজ বিচ্ছিন্নভাবে দেখা উচিত নয়। রায়ে বলা হয়েছে, ‘প্রকল্পে কাজে যুক্ত শ্রমিকরা যেহেতু নির্মাণস্থলে রয়েছেন তাই সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের কাজে স্থগিতাদেশ জারির কোনও প্রশ্ন নেই।’ দিল্লি হাইকোর্টের সংযোজন, এর আগে ১৯ এপ্রিলের আগে ডিডিএমএ-র নির্দেশেও প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

কেন্দ্র আগেই দাবি করেছিল যে, এই মামলা প্রকল্প ভেস্তে দেওয়ার অভিসন্ধি। যদিও পাল্টা সওয়াল-জবাবে আবেদনকারীদের দাবি ছিল, তাঁরা নির্মাণ শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

কোভিডে বিপর্যস্ত দেশ, কিন্তু তার মধ্যেই জোরকদমে চলছে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের কাজ। নয়া সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর নয়া বাসভবন নির্মাণের এই প্রকল্পে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হচ্ছে। সেন্ট্রাল ভিস্তা নির্মানে স্থগিতাদেশের জন্য আগেই আবেদন জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কেন এই সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পে তাড়াহুড়ো তা নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিনীত সরণ এবং দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চ মামলাকারীকে পরামর্শ দেয়, এই মামলার দ্রুত শুনানির জন্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হোক। শীর্ষ আদালত হাইকোর্টকেও দ্রুত এই মামলার শুনানির জন্য আবেদন করেছিল।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Parliament Central Vista
Advertisment