গুরু নানকের জন্মদিনেই ঐতিহাসিক ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নতুন তিনটি কৃষি আইনই প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন মোদী। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও ফসলের ন্যায্যমূল্যের বিষয়টি নিয়ে এখনও বড়সড় প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে বলে মনে করেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলনও পুরোপুরি উঠবে না বলে জানিয়েছেন কৃষক নেতা টিকায়েত। সংসদ চালু হলে এমএসপি নিয়ে আলোচনা হবে বলেও তিনি জানান। এমএসপি-র বিষয়টি নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে বলে মনে করেন এই কৃষক নেতা।
তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার পরেও আন্দোলন থেকে পুরোপুরি উঠবেন না কৃষকরা। এবার সংসদেও কৃষি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ফিরবেন না বলে সানডে এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের জাতীয় মুখপাত্র রাকেশ টিকায়েত। তিনি বলেন, “সংসদে কৃষি আইন বাতিল হওয়ার আগে ফিরে যাব না। তারপর আমরা এমএসপি নিয়ে আলোচনা শুরু করব। বড় প্রশ্নচিহ্ন এখন এমএসপিতেই।” এদিন সানডে এক্সপ্রেসকে রাকেশ টিকায়েত স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, সংসদে আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে আইনগুলি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত কৃষকরা বিক্ষোভ স্থান ছেড়ে যাবেন না।
সানডে এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এদিন টিকায়েত আরও বলেন, “২২ জানুয়ারি থেকে সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনও আলোচনা হয়নি। এমনকী লখিমপুর ইস্যু চলাকালীন কেবলমাত্র সেই নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাটি আশ্চর্যজনক। ওই ঘোষণা সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারণাই ছিল না।” কেন্দ্রের ইতিবাচক পদক্ষেপের পর এবার কৃষকদের অবস্থান ঠিক কী হবে তা নিয়ে আজ বৈঠকে বসবেন কৃষক নেতারা।
আরও পড়ুন- সামান্য বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, ৫৩২ দিনে সর্বনিম্ন অ্যাক্টিভ কেস
উল্লেখ্য, নতুন তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি উঠেছিল প্রায় সর্বত্র। এমনকী আইন বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। শীর্ষ আদালত অবশ্য ওই তিনটি কৃষি আইন কার্যকরের ওপর আগেই স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। শুক্রবার গুরু নানকের জন্মদিনে তিনটি কৃষি আইনই বাতিলের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মেদী।
জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ওই দিন তিনি বলেন, ‘এই আইন আনার পিছনে আমাদের সত্ উদ্দেশ্য ছিল। শুরু থেকেই কৃষকদের বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। তিনটি আইনকে স্বাগতও জানিয়েছিল একাধিক কৃষক সংগঠন। তবে দু’বছর ধরে সেই আইনের প্রয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছিল। এবার তিনটি কৃষি আইনই প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।’
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন