/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/07/dhakkhar-mamata.jpg)
বিধানসভা থেকে বিদায়বেলায় রাজ্যপালের সঙ্গে অধ্যক্ষ ও মুখ্যমন্ত্রী।
বাজেট অধিবেষনের সূচনায় রাজ্যপাল রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদিত ভাষণ তিনি পাঠ করবেন কি না, তা নিয়ে নানা জল্পনা ছিল। কিন্তু অধিবেশনের শুরুতেই বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকলো পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। ভাষণ সম্পূর্ণ না করেই বেরিয়ে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শুরু থেকেই ওয়েলে নেমে বিজেপি বিধায়কদের তুমুল বিক্ষোভের মধ্যেই ভাষণ বন্ধ করে দেন রাজ্যপাল। এরপরই কক্ষ ত্যাগ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, ১৪ পাতার ভাষণের মাত্র কয়েকটি লাইনই পড়তে পেরেছেন রাজ্যপাল।
টানাটানউত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবার বিধানসভায় প্রবেশ করেই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন রাজ্যপাল। আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদানের মুহূর্তে ধনকড়-মমতাকে কথা বলতেও দেখা যায়। এরপরই রাজ্যপালকে নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভার কক্ষে। তারপরই বাজেট বক্তব্য পাঠ করতে শুরু করেন রাজ্যপাল।
ঠিক সেই সময়ই 'ভোট পরবর্তী হিংসার ছবি' হাতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। দেওয়া হয় 'ভারত মাতা কি জয়' স্লোগান। এর নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই মাত্র কয়েক লাইন বক্তব্য পাঠ করেই থেমে যান জগদীপ ধনকড়। হাত জোড় করতে বক্তব্য শেষ করার কথা জানান তিনি। বেরিয়ে আসেন বিধানসভা থেকে।
আরও পড়ুন-সলিসিটার জেনারেল পদ থেকে তুষার মেহেতার অপসারণ দাবি তৃণমূলের, শুভেন্দুর সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে প্রশ্ন
মনে করা হচ্ছে বিজেপি বিধায়কদের চিৎকার-চেঁচামিচিতেই এদিন ভাষণ দিতে পারলেন না রাজ্যপাল। জানা গিয়েছে, দুপুর তিনটে পর্যন্ত বিধানসভায় রাজ্যপালের থাকার কথা ছিল থাকলেও তার ৫০ মিনিট আগেই ফিরে যান রাজ্যপাল। রীতি মেনে তাঁকে বিদায় জানান বিধানসভায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আগে কখনও ঘটেনি। অতীতে রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের বিধায়করা। কিন্তু রাজ্যপালকে ভাষণ থামাতে হয়নি। কিন্তু এবার সেটাই হল।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/07/suvendu-assambly.jpg)
রাজ্যপাল কেন ভাষণ শেষের আগেই কক্ষ ত্যাগ করলেন? জবাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'এর জবাব জগদীপ ধনকড়জীই দিতে পারবেন। বিরোধীদের প্রতিবাদের বিষয় ছিল ভোট পরবর্তী হিংসা। তবে, রাজ্যপালের ভাষণে এদিন বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসার উল্লেখ ছিল না। উল্টে বলা হয়েছে যে, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রচার। নির্বাচন কমিশনের হাতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার ভার থাকাকালীন হিংসা হয়েছে। ৫ মে-র পর রাজ্যে তেমন কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। স্পষ্ট যে, এই ভাষণের কোনও সারবত্তা নেই।' হুঁশিয়ারির সুরে শুভেন্দু বলেছেন, 'আগামিদিনে বিধানসভায় ভোট পরবর্তী হিংসা, ভ্যাকসিন দুর্নীতি নিয়ে আলোচনার দাব করছে বিজেপি।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন