কেন্দ্র ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বদের জন্য টিকাকরণের অনুমতি দিতেই রাজ্য সরকার ও বেসরকারি হাসপাতালের জন্য টিকার ডোজের দামের ঘোষণা করে সেরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেক। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের ডোজের দাম নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তুঙ্গে। এবার ডোজের দাম কমাতে দুই টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাকে অনুরোধ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এই অতিমারী পরিস্থিতিতে লাভের কথা না ভাবার আর্জি কেন্দ্রের।
প্রসঙ্গত, টিকার ডোজের কেন্দ্রের জন্য এক দাম এবং রাজ্যগুলির জন্য আরেক কেন, সেই বৈষম্যের সমাধানের জন্য একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে মোদীকে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিতে বলেন মমতা। পাশাপাশি, অবিজেপি রাজ্যগুলিও দামের বৈষম্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে। দেশজুড়ে সমালোচিত হওয়ার পর ডোজের দাম কমানোর জন্য সেরাম ও ভারত বায়োটেককে আবেদন করল কেন্দ্র।
সোমবার দুই সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা। সূত্রের খবর, সেরাম ও ভারত বায়োটেক টিকার ডোজের নয়া দামের তালিকা প্রকাশ করতে পারে। উল্লেখ্য, হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক কোভ্যাক্সিনের প্রতি ডোজ ৬০০ টাকা ধার্য রাজ্যগুলির জন্য এবং বেসরকারি হাসপাতালের ১২০০ টাকা প্রতি ডোজ।
অন্যদিকে, পুণে স্থিত সেরাম ইনস্টিটিউট কোভিশিল্ডের ডোজ প্রতি দাম ৪০০ টাকা ধার্য করে রাজ্যগুলির জন্য এবং বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে ৬০০ টাকা প্রতি ডোজ। তবে কেন্দ্রকে দুই সংস্থা টিকা ডোজ প্রতি দিচ্ছে মাত্র ১৫০ টাকায়। দামের এই হেরফেরের জন্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ তোলে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে কেজরিওয়াল, অশোক গেহলটরা প্রতিবাদ জানান, বলেন, বিপর্যয়ের সময়ে লাভ করতে চাইছে দুই সংস্থা। কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করুক।