'দি কাশ্মীর ফাইলস' সিনেমা কাশ্মীর উপত্যকায় এখনও থেকে যাওয়া পণ্ডিতদের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে। এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। 'দি কনসার্নড সিটিজেনস গ্রুপ' নাগরিক সংগঠনের নেতা যশবন্তের অভিযোগ, 'দি কাশ্মীর ফাইলস' কাশ্মীরের বাসিন্দাদের আবেগে আঘাত করেছে। এর জেরে উপত্যকায় এখনও রয়ে যাওয়া পণ্ডিতদের জীবন হয়ে পড়েছে বিপন্ন।
শুধু পণ্ডিতরাই নন, কাশ্মীরের মূলধারার রাজনীতিবিদদের জীবনকেও বিপন্ন করে তুলেছে এই সিনেমা। এমনই অভিযোগ যশবন্তের। তাঁর অভিযোগ, এই সিনেমায় বাস্তবের চেয়েও সিনেমার কাল্পনিকতাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীরে গত তিন দশকে কয়েক হাজার যুবককে হত্যা করা হয়েছে। তা নিয়ে উপত্যকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ যন্ত্রণায় ভুগছেন। তার মধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অপবাদ, অপমান, যন্ত্রণাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কাশ্মীর ঘুরে আসার পর, 'দি কনসার্নড সিটিজেনস গ্রুপ' নামে সংগঠনটির সদস্যরা এমনটাই উপলব্ধি করেছেন।
যশবন্তের কথায়, কাশ্মীরের প্রতিটি পরিবার গত তিন দশকে কাউকে না-কাউকে হারিয়েছে। তাদের প্রত্যেকের কোনও না-কোনও গল্প বলার আছে। সব কাশ্মীরিরাই দুর্ভোগে ভুগেছেন। তাঁদের প্রত্যেকের বিচারের প্রয়োজন আছে। কিন্তু, 'দি কাশ্মীর ফাইলস' সিনেমায় নৃশংস, অমানবিক পদ্ধতিতে এবং মানবতার বিরুদ্ধে গিয়ে প্রত্যেক কাশ্মীরি মুসলিমকে বর্বর, প্রতারক এবং জিহাদি বলে বর্ণনা করা হয়েছে। যখন বাকি ভারত থেকে কাশ্মীরের বিভিন্ন হোটেলে পর্যটক ভর্তি, ঠিক সেই সময়ে এই সিনেমা দেখানো হয়েছে। উপত্যকায় বহিরাগত এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর ক্রমবর্ধমান হামলার মধ্যেই সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে।
আরও পড়ুন- পাখির চোখ ২৪, মোদী বিরোধিতার বন্ধনে নবরূপে ফুটল ইউপিএ
যশবন্ত সিনহা নিজে না-গেলেও, তাঁর সংগঠনের বাকি সদস্যরা এই রিপোর্ট তৈরির জন্য কাশ্মীর সফর করেছেন। এই বাকি সদস্যরা হলেন- দিল্লির সেন্টার ফর ডায়ালগ অ্যান্ড রিকনসিলেয়েশনের কার্যনির্বাহী সম্পাদক সুশোভা বারভে, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ, এয়ার ভাইস মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) কপিল কাক এবং প্রাক্তন সম্পাদক ভারত ভূষণ এই সংগঠনে আছেন। তাঁরা কাশ্মীরে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন।
Read story in English