কম্বোডিয়ায় আটকে পড়া পাঁচ হাজার জনের মধ্যে থেকে ২৫০ জনকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিদেশ মন্ত্রক বলেছে সরকার কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছে। প্রায় ২৫০ ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে মাত্র তিন মাসের মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় পাঁচ হাজারের বেশি ভারতীয় আটকে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের দিয়ে করানো হচ্ছে ভয়ঙ্কর সাইবার অপরাধ।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে কম্বোডিয়ায় এই ভারতীয়দের জোর করে সাইবার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৬ মাসে ভারতীয়দের প্রায় ৫০০ কোটি টাকা প্রতারণা করেছে তারা। তাদের কম্বোডিয়া থেকে মুক্ত করার কৌশল তৈরি করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
একটি সরকারী বিবৃতিতে, বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন "আমরা কম্বোডিয়ায় আটকে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের বিষয়ে মিডিয়া রিপোর্ট দেখেছি। কম্বোডিয়ায় আমাদের দূতাবাস ভারতীয় নাগরিকদের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সাড়া দিচ্ছে। ইতিমধ্যে ২৫০ ভারতীয়কে উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৭৫ জন ভারতীয়কে গত তিনমাসের মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে"।
তিনি যোগ করেছেন যে এই ধরনের কেলেঙ্কারী সম্পর্কে ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক করার জন্য মন্ত্রক এবং কম্বোডিয়ায় ভারতের দূতাবাস বেশ কয়েকটি পরামর্শও জারি করেছে।
রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে কম্বোডিয়ায় ভারতীয়দের আইনের ভয় দেখিয়ে সাইবার অপরাধ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে যখন ওড়িশার রৌরকেলা পুলিশ ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩-এ একটি সাইবার ক্রাইম সিন্ডিকেট ফাঁস করে এবং ৮ জনকে গ্রেফতার করে। কম্বোডিয়ায় ভারতীয়দের নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে তারা জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে ডাটা এন্ট্রির চাকরির অজুহাতে তাদের কম্বোডিয়ায় পাঠানো হয়। পর্যন্ত ৬ মাসে ভারতীয়দের প্রায় ৫০০ কোটি টাকা প্রতারণা করেছে তারা।