লাদাখ জুড়ে বিক্ষোভের পটভূমিতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৩৭১ ধারার মাধ্যমে রাজ্যের জণসাধারণকে সুরক্ষা দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র।
আগে লাদাখকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে আলাদা করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছিল। এখন লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবি তুলেছেন সেখানের স্থানীয় বাসিন্দারা। লাদাখের বাসিন্দাদের দাবি, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া উচিত। এই দাবি নিয়েই লাদাখে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়টিকে নজরে রাখছিল। এবার এই নিয়ে বড় ভাবনার পথে এগোতে চলেছে মোদী সরকার! কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে রক্ষা করতে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্বেগকে দূর করার জন্য লাদাখে ৩৭০ ধারা চালু করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। এ বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু বলা হয়নি।
সূত্রের খবর, সোমবার লেহ শীর্ষ সংস্থা এবং কার্গিল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের স্থানীয় প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন। এই বৈঠকে নেতাদের আশ্বস্ত করেছেন অমিত শাহ। অমিত শাহ প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন, 'সংবিধানের ৩৭১ ধারার মাধ্যমে স্থানীয়দের জমি, চাকরি এবং সংস্কৃতি সংরক্ষণ করা হবে'।
অমিত শাহ প্রতিনিধিদের আরও জানিয়েছেন, 'সংবিধানের ষষ্ঠ ধারাকে লাদাখকে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয়। তাই এই দাবি পূরণ করা যাবে না। সূত্র আরও জানিয়েছেন শাহ আলাদা বিধানসভার দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছেন'। জম্মু ও কাশ্মীরের মতো লাদাখও বিধানসভা ছাড়াই একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ৩৭১ ধারার মাধ্যমে লাদাখের নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষা করা হবে বলেই জানিয়েছেন শাহ। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ৮০ শতাংশ চাকরি স্থানীয়দের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। শাহের বৈঠকে স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন : < Bengal CM Mamata Banerjee: রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশাকর্মীদের বেতন বৃদ্ধি, বিরাট ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর >
কয়েকদিন আগে, লাদাখের মানুষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার জন্য, লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। লাদাখের মানুষও সম্ভাব্য শিল্পায়নের কারণে পরিবেশের ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ২০১৯ সালের অগস্ট-এ জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য থেকে লাদাখকে পৃথক করে সেটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়া হয়। কিন্তু হিমালয়ের কোলে থাকা এই পার্বত্য অঞ্চলটির অধিবাসীদের অধিকাংশের দাবি, লাদাখকে আলাদা রাজ্যের স্বীকৃতি দিতে হবে। আলাদা রাজ্য ছাড়াও সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে লাদাখকে অন্তর্ভুক্ত করা, স্থানীয়দের জন্য সরকারি চাকরিতে আসন সংরক্ষণ করা এবং লেহ এবং কার্গিল— দু’টি লোকসভা কেন্দ্র গড়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।
যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এর আগে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইও লাদাখের নেতাদের সঙ্গে দুই দফা আলোচনা করেছিলেন।