জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর উপত্যকা জুড়ে প্রচুর পরিমাণে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বভাবিক হতেই উপত্যকা জুড়ে সেনা প্রত্যাহারের কথা বিবেচনা করেছে কেন্দ্র। শীর্ষস্তর থেকে এই প্রস্তাব মঞ্জুর হলেই এই প্রস্তাব কেবল নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর মোতায়েন থাকবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন,প্রায় দুই বছর ধরে কাশ্মীরের বেশ কিছু এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, সশস্ত্র বাহিনী এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এই নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে।
এই প্রস্তাব এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। উপত্যকা থেকে জওয়ানদের প্রত্যাহার করা হলে, সিআরপিএফ-এর বাহিনী আইন-শৃঙ্খলা এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের তদারকি চালাবে। একজন সিনিয়র নিরাপত্তা আধিকারিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন যে বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবেচনার অধীনে রয়েছে। এখন দেখার বিষয়টি কবে নাগাদ বাস্তবায়িত হতে চলেছে।
সেনা সূত্রে খবর জম্মু ও কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর প্রায় ১.৩ লাখ সেনা রয়েছে। যার মধ্যে সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে প্রায় ৮০ হাজার। রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার সেনা কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অংশে নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সিআরপিএফের জম্মু-কাশ্মীরে প্রায় ৬০ হাজার কর্মী মোতায়েন রয়েছে। যার মধ্যে ৪৫ হাজারের কাশ্মীর উপত্যকায় মোতায়েন রয়েছে। সঙ্গে রয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশে ৮৩ হাজার কর্মী।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেছেন, সরকার দাবি করেছে যে ২০১৯ সালের অগাস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিরাপত্তা কর্মীদের হত্যার ঘটনায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে। কমেছে সেনাবাহিনীর ওপর পাথর ছোঁড়ার ঘটনাও। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।