জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারকে জঙ্গি তকমা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এক বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই তকমা দিয়েছে। আশিক আহমেদ নেংরু নামে ওই কমান্ডার কাশ্মীরে সশস্ত্র জঙ্গিদের প্রবেশ করানোর মুখ্য দায়িত্বে রয়েছে। পাশাপাশি, তার বিরুদ্ধে কাশ্মীর উপত্যকায় বিভিন্ন জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগও রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই রীতিমতো জঙ্গিদের সিন্ডিকেট চালায় অভিযুক্ত জইশ কমান্ডার। পাকিস্তানের নির্দেশে সীমান্তের এপারে জঙ্গিদের প্রবেশ করানো। তাদের আশ্রয়দান। তাদের জঙ্গি কার্যকলাপ করতে সাহায্য করার মতো বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে কট্টর জইশ জঙ্গি নেংরুর বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে, নেংরুর কার্যকলাপ রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের পক্ষে বিপজ্জনক। তার বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন বা ইউএপিএ-সহ একাধিক আইনে অভিযোগ দায়ের করেছে সরকার।
সম্প্রতি কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর একাধিক জঙ্গিহানার ঘটনা ঘটেছে। এমনকী, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়ে বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী শহিদও হয়েছেন। ইদানিং, হামেশাই এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। তার জেরে সরকারও কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গিদমন অভিযান দৃঢ় করেছে। কিন্তু, তারপরও উপত্যকায় জঙ্গিদের হামলা থামছে না। সম্প্রতি কাশ্মীরে পণ্ডিতদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে 'কাশ্মীর ফাইলস' সিনেমা তৈরি হয়েছে। এই সিনেমা প্রকাশের পর থেকে উপত্যকায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। এমনটাই অভিযোগ, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর। তার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না-মিললেও কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্ত সম্প্রতি পণ্ডিতদের ওপর হামলার ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনাও কাশ্মীরে ইদানিং বেড়েছে। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন উপত্যকার সাধারণ মানুষ। তাঁরা চান শান্তি ফিরুক কাশ্মীরে।
আরও পড়ুন- কেন ভারতের বাজার ধাক্কা খেল, এরপর কী হবে
সম্প্রতি পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী বদল হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটিতে রাজনৈতিক ক্ষমতা বদলালে, ভারতেও তার প্রভাব পড়ে। কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপও বৃদ্ধি পায়। এবারও সেই কারণেই উপত্যকায় জঙ্গিপনার বৃদ্ধি ঘটেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি, বিশ্ব রাজনীতিতে ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়া প্রায় একঘরে হয়ে যাওয়ায়, কাশ্মীরের সমস্যাকেও আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় নিয়ে গিয়ে ভারতকে চাপে ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জঙ্গিরা।
Read story in English