/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/08/cats-213.jpg)
স্কলারশিপ প্রকল্পে বিরাট কেলেঙ্কারি!
স্কলারশিপকেলেঙ্কারি: স্কলারশিপ প্রকল্পে বিরাট কেলেঙ্কারি! ভুয়ো মাদ্রাসার নামে কোটি কোটি টাকা নয়ছয়। CBI-এর হাতে তদন্ত হস্তান্তর সংখ্যালঘু মন্ত্রকের।
সংখ্যালঘু স্কলারশিপ প্রকল্পে বিরাট কেলেঙ্কারি্র ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। দেশের ১৫৭২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রায় ৮৩০টি প্রতিষ্ঠান ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের সংখ্যালঘু মন্ত্রকের তদন্তে স্কলারশিপ কেলেঙ্কারি্র বিষয়টি সামনে এসেছে। তদন্তে দেখা গেছে, ভুইয়ো মাদ্রাসা ও ভুয়ো ছাত্রদের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার স্কলারশিপ তোলা হয়েছে।
তথ্য পাওয়া মাত্রই সংখ্যালঘু মন্ত্রক তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দেশের ১৫৭২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রায় ৮৩০টি প্রতিষ্ঠান শুধু কাগজে কলমে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গত ৫ বছরে ১৪৪.৮৩ কোটি টাকার স্কলারশিপ কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। একই সঙ্গে দেশে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার।
৮৩০টি ভুইয়ো প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করেছে সরকার। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, একটি মোবাইল নম্বরে ২২টি শিশুর নাম রেজিস্টার রয়েছে। একইভাবে, কেরালার একটি জেলা মালাপ্পুরমে, গত ৪ বছরে ৮ লক্ষ শিশু স্কলারশিপ পেয়েছে।
আসামের নগাঁও-এর একটি ব্যাঙ্ক শাখায় একবারে ৬৬০০০স্কলারশিপ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। একইভাবে কাশ্মীরের অনন্তনাগ ডিগ্রি কলেজের ঘটনাও সামনে এসেছে। কলেজে মোট ৫০ হাজার শিক্ষার্থী থাকলেও সাত হাজার শিক্ষার্থীর স্কলারশিপ কেলেঙ্কারির বিষয়টি সামনে এসেছে।
সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ২০১৬ সালে, যখন পুরো বৃত্তি প্রক্রিয়াটি ডিজিটালাইজ করা হয়েছিল, তখন কেলেঙ্কারি শাখা প্রশাখা মেলতে শুরু করে। ২০২২ সালে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে সংখ্যালঘু মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হলে, এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে বড় আকারের তদন্ত শুরু হয়েছিল।
প্রথম শ্রেণী থেকে পিএইচডি পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি দেওয়া হয়। এর আওতায় ৪০০০ থেকে ২৫০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১ লাখ ৩২ হাজার শিশু হোস্টেল ছাড়া বসবাস করলেও এদের নামে দেওয়া বৃত্তি জালিয়াতি করা হয়েছে।